কী রয়েছে ‘ওটিপি-ই রক্ষা কবচ’ বইতে? ব্যাঙ্ক জালিয়াতি রুখতে কী বলছে কলকাতা পুলিশ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমেই বাড়ছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমান। প্রযুক্তিকে নানাভাবে ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেকেই সর্বশান্ত হচ্ছেন। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সাইবার বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসন সকলেই। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও চিন্তিত। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি রুখতে কলকাতা পুলিশ একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ একটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তা নাগরিকদের মধ্যে বিলিও করা হচ্ছে। প্রচার পুস্তিকাটির নাম রাখা হয়েছে ‘ওটিপি-ই রক্ষা কবচ’। কবিতার ছলে বলা হয়েছে-
‘কষ্টের টাকা যাবে না জলে
অল্প একটু সচেতন হলে।’
প্রচার পুস্তিকায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে-
(ক) ব্যাঙ্ক, বীমা বা অন্যান্য আর্থিক সংস্থা আমানতকারীদের থেকে কখনই ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায় না।
(খ) ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড, ওটিপি, ইউপিআই পিন, এটিএম পিন অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য। এগুলো নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
(গ) ওটিপি বা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য অচেনা-অজানা কাউকে কোনও অবস্থাতেই না দেওয়া হয়। সতর্ক থাকলে গ্ৰাহকও সুরক্ষিত থাকবেন।
(ঘ) জালিয়াতদের লক্ষ্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। তাই তথ্য পেতে অপরাধীরা নানাভাবে গ্রাহককে প্ররোচিত করা চেষ্টা চালাবে। ব্যাঙ্কের গ্রাহককে ‘সতর্ক’ থাকতে হবে।
(ঙ) আম জনতা নিত্যদিনের কাজে ব্যস্ত থাকেন। প্রতারকরা সাধারণ মানুষের এই ব্যস্ততার ফায়দা তোলে। হঠাৎ করেই ব্যাঙ্কের কোনও সমস্যার কথা জানিয়ে গ্রাহককে ফোন করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট কার্ডের তথ্য-সহ অন্যান্য তথ্য চাইতে পারে।
(চ) কেওয়াইসি আপডেটের নামে প্রতারকরা নানা তথ্য চাইতে পারে।
(ছ) ফেসবুকে অনেক সময় নানান ধরনের আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন থাকে। অত্যন্ত কম দামে জিনিসপত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এহেন বিষয় থেকে আম জনতাকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গোয়েন্দারা।
শহরবাসীর প্রতি গোয়েন্দা দপ্তরের আর্জি, ঠিকমতো যাচাই না করে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়াই উচিত। সুরক্ষিত থাকতে সচেতন হাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতার পুলিশ।