ফিউশনকে ব্যাকফুটে ঠেলে বিজয়ার ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ সাবেকি মিষ্টি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্বাস্থ্য সচেতনতার অজুহাতে বাঙালি নাকি মিষ্টি খাওয়া থেকে কিছুটা দূরে দূরেই থাকছে! বাঙালির নামে এমন কথা বেশ শোনা যাচ্ছে বিগত ক’বছরে। এ যে একটা মিথ্যে প্রচার তা বেশ বোঝা যায়, মিষ্টি বিক্রির পরিসংখ্যান দেখলে। বাংলার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ বছর পুজোয় মিষ্টি বিক্রির পরিমাণ গতবারের তুলনায় কমপক্ষে ১০ শতাংশ বেড়েছে।
কেসি দাশ কর্তৃপক্ষ বলছে, বিগত বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি বেড়েছে ১২ শতাংশ। রসগোল্লা, রসমালাই, রসমালঞ্চ, লবঙ্গলতিকা, ক্ষীরের চপ প্রভৃতি ভাজা ও রসের মিষ্টির বিক্রি বেশি হয়েছে। বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিকের মিষ্টির বিক্রি গতবারের তুলনায় পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বারো মাসের তেরো পার্বণে মিষ্টির চাহিদা বেড়ে চলেছে। পুজোর সময় কিছু নতুন মিষ্টি তৈরি হয় দোকানগুলিতে। সেগুলির চাহিদাও পুজোতে দারুণ ছিল, বলছেন বিক্রেতারা।
গজা, মিহিদানা ও নিমকি অন্য সমস্ত মিষ্টিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা। দশমীর কুচো নিমকি, গজা ও মিহিদানা নিজ বিক্রমে ফিরে এসেছে, এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে পরিসংখ্যান। ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও নোনতার চাহিদা বাড়ছে।