আগুন দামে লক্ষ্মী পুজোর বাজার গরম
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হবে ধনলক্ষ্মীর ব্রত। কিন্তু পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত বাঙালির। কারণ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।
শহরের কয়েকটি বাজারে ঘুরে বৃহস্পতিবার দেখা মিলেছে নমো নমো করে ফল সব্জি কিনে বাড়ির পথে পা বাড়ানো বহু লোকের। দশকর্মা সহ পুজোর আনুষঙ্গিক সমস্ত উপাচারের দামও বেশ চড়া। পেশায় গৃহশিক্ষক সুজয় রাহা হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে। বাজার করে তাঁর প্রতিক্রিয়া, অগ্নিমূল্য বাজার দরে কখন যে হাজার টাকা শেষ হয়ে গেল, বুঝতে পারলাম না! খুচরো পয়সাটুকুও নেই।
প্রায় সব বাজারেই চড়া দামে বিকিয়েছে ফল সব্জি। পুজোর ফুলের সিংহভাগের জোগানদার জগন্নাথ ঘাট বাজার। সেখানে এখন থেকেই ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে আম বাঙালিকে। কমবেশি সব বাজারেই এক পিস নারকেল বিকিয়েছে ৪০ ৬০ টাকায়। কেজি প্রতি আপেল বিক্রি হয়েছে কোথাও ১০০ আবার কোথাও ১২০ টাকায়। এক একটি বড় সাইজের আখের দাম পৌঁছেছে ৩৫ ৪০ টাকায়। ৬০ টাকা কেজি শশা। বাতাবি ৩৫ ৪০ টাকা প্রতি পিস। নাশপাতি ২৫০ টাকা কেজি, আঙুর ২০০ ২২০ টাকা, তরমুজ ৪০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ৬০ টাকা। শিষ ডাবের দাম ছিল ৪০ টাকা। সব্জির মধ্যে প্রমাণ সাইজের ফুলকপি ৫০ ৬০ টাকা। বেগুন ৭০ ৮০ টাকা, কুমড়ো ৩০ ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ ৫০ টাকা, টম্যাটো ৪০ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। ধনদেবীর আরাধনা পর্বে আর এক অপরিহার্য সামগ্রী ধানের শিষ। বাজারের ‘স্টেটাস’ অনুযায়ী তা বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকায়।
ধনদেবীর আরাধনা পর্বে আর এক অপরিহার্য সামগ্রী ধানের শিষ। বাজারের ‘স্টেটাস’ অনুযায়ী তা বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকায়।
ষোড়শ উপাচারের অন্যতম ফুল। পাইকারি থেকে খুচরো সব বাজারেই ফুলের দাম এখন চড়া। দেবীর পুজোয় পদ্মও আবশ্যিক! প্রতি পিস পদ্ম এদিন থেকেই বিক্রি হচ্ছে ৩০ ৩৫ টাকায়। গাঁদা ফুলের বড় মালা ৩০ ৪০ টাকা এবং ছোট মালা পিস প্রতি ১২ ১৫ টাকা। রজনীগন্ধার বড় মালা কোথাও ৭০ ৮০ টাকা, আবার কোথাও ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বেড়েছে প্রতিমারও।