‘এক দেশ, এক স্টুডেন্ট আইডি’ চালু করতে চলছে মোদী সরকার, উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার ‘এক দেশ, এক স্টুডেন্ট আইডি’ চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে পড়ুয়াদের অভিন্ন এই পরিচয়পত্রের জন্য অটোমেটেড পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি (এপিএএআর)-র কথা ভাবা হয়েছে।
গত সপ্তাহে, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে স্বয়ংক্রিয়, স্থায়ী একাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি নামে পরিচিত একটি নতুন ছাত্র পরিচয়পত্র তৈরির জন্য পিতামাতার সম্মতি চাইতে অনুরোধ করেছে। এটি ২০২০ সালের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির অঙ্গ এই ‘এক দেশ, এক ছাত্র আইডি’ উদ্যোগ।
এপিএএআর সরকারের ডিজিলকারের গেটওয়ে হিসেবেও কাজ করবে। প্রসঙ্গত, এই ডিজিলকার হল একটি ডিজিটাল সিস্টেম, যেখানে পড়ুয়ারা তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সাফল্যের খতিয়ান নথিভুক্ত করে রাখতে পারবে। শিক্ষা প্রক্রিয়াকে জটিলতা মুক্ত রাখাই এপিএএআর চালুর প্রধান লক্ষ্য বলে দাবি করা হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আর ‘ফিজিক্যাল ডকুমেন্ট’ (যেমন মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড, শংসাপত্রের হার্ড কপি) সঙ্গে রাখতে হবে না। তাছাড়া, এপিএএআর পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্রের জালিয়াতির সম্ভাবনাও অনেকাংশে হ্রাস পাবে। জাতীয় শিক্ষা প্রযুক্তি ফোরামের চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধি জানিয়েছেন, দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এই পরিবর্তন হবে অত্যন্ত ইতিবাচক। কারণ, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলির পক্ষে সাক্ষরতার হার, মাঝপথে কতজন পড়া ছেড়ে দিল তার পরিসংখ্যান সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা সহজ হবে। স্কুল বদলের ক্ষেত্রেও তথ্য আদানপ্রদানে সমস্যা হবে না।
পিএএআর আইডি তৈরির জন্য রেজিস্ট্রেশন অবশ্য বাধ্যতামূলক নয়। যদিও মোদি সরকারের এই নয়া উদ্যোগ নিয়ে নানা মহলেই জল্পনা শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতি কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।