বঙ্গ বিজেপি’র অবস্থা এখন ‘হারতে হারতে হারাধন!’, মত ক্ষুব্ধ দিলীপের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার শান্তিপুর এবং দিনহাটা থেকে জয়ী হলেও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদে বহাল থাকেন। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫-এ। তার পর শুরু হয় দলবদল। মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাসরা তৃণমূলে ফিরে আসেন। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে শেষ দলত্যাগী ছিলেন সুমন কাঞ্জিলাল। তখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৯-এ। আর গত বৃহস্পতিবার হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে সংখ্যাটা কমে হল ৬৮।
২০২১ সালের পর থেকেই বিজেপিতে ক্ষয়ের ধারা অব্যহত। দুই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং অর্জুন সিংহ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। অর্জুন খাতায়কলমে বিজেপিতে থাকলেও বাবুল এখন বিধানসভা ভোটে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী। আসানসোল তৃণমূলের দখলে। ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল ও ব্যারাকপুর নিয়ে তো চিন্তা রয়েছেই। সেই সঙ্গে বিষ্ণুপুর লোকসভা আসন নিয়েও চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন বিধায়ক হরকালী। ইতিমধ্যেই এই আসনের দুই বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছেন।
যা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই বঙ্গ বিজেপি দলীয় কোন্দলে জেরবার। আর এখন বিক্ষোভ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বঙ্গ বিজেপির ‘দুর্দশা’ নিয়ে বোমা ফাটালেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরের গেরুয়া সাংসদের সাফ কটাক্ষ, ‘দলের অবস্থা এখন হারতে হারতে হারাধন!’ এতেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। চরম অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। এমনিতে রাজ্যে দলের বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দিলীপবাবুর সম্পর্ক ভালো নয়। সভাপতি পদ হারানোর পর থেকেই নতুন নেতাদের নামে বারবার বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু এদিন দিল্লিতে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে তাঁর বক্তব্য ছিল আরও আক্রমণাত্মক। সরাসরি বলেন, ‘আমায় সরানোর ছিল। সরিয়ে দিয়েছে। আবার কীসের রদবদল চাই? এখন তো আর কাজ করতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে।’ তবে পুরনো নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার বার্তাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।