লোকসভা, বিধানসভার সঙ্গে পঞ্চায়েত ও পুরভোটও করার ভাবনা মোদী সরকারের, উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এক দেশ, এক ভোট। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আপাতত এই নীতিকেই কার্যকর করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রের সরকার। নীতি কার্যকর কী ভাবে হবে, কোন পথে সঠিক দিশা মিলতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই দিশা খুঁজে পেতে একটি কমিটিও গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়ার ‘সুপরিকল্পিত’ ছক এই নীতি।
এসবের মধ্যেই নতুন একটি তথ্য সামনে আসছে। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন প্রথা হতে চলেছে আক্ষরিক অর্থেই ওয়ান। এখন জানা যাচ্ছে দেশের তাবৎ জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনকেই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনের আওতায় নিয়ে আসার ইচ্ছা মোদী সরকারের। অর্থাৎ পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনও হবে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সঙ্গে।
বুধবার রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বৈঠকে করে আইন কমিশনের সঙ্গে। সেখানেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইন কমিশনের সুপারিশ ও প্রস্তাব, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সর্বশেষ সময়সীমা হিসেবে ধার্য করা হোক। অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পর যত বিধানসভা, পুরসভা, পঞ্চায়েত ভোট হবে, সেগুলির মাধ্যমে গঠিত বোর্ড অথবা সরকারের মেয়াদ কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে এমনভাবে ধার্য করা হোক, যাতে প্রত্যেক নির্বাচনই ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটের সঙ্গেই করে ফেলা যায়।
এই বৈঠকের পর ইতিমধ্যেই ৬টি জাতীয় দল এবং ৩৩টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে ডাকা হবে বৈঠকে। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নিয়ে মোদি সরকার এতটাই উদগ্রীব যে, আইন কমিশন চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগেই তৈরি হয়েছে নতুন কমিটি। যার নেতৃত্বে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এখন দুই কমিটিই পাশাপাশি খতিয়ে দেখছে এই সম্ভাবনা। সুতরাং ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন যে কার্যকর হবেই—এই আভাস এখন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে।