মিলছে না স্বাস্থ্যবিমার টাকা, ইনসিওরেন্স অম্বুডসম্যান জমছে অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লাগামহীন চিকিৎসার খরচের কথা চিন্তা করে অনেকেই স্বাস্থ্যবিমা করান। বছর বছর প্রিমিয়াম জমা দিতে মধ্যবিত্তর কালঘাম ছোটে। তারপরও পরিবারের সবার নামে স্বাস্থ্যবিমা করে রাখে আম জনতা। প্রয়োজনে বিমারই আর্থিক নিরাপত্তা দেবে, এমনটাই বিশ্বাস সাধারণের। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক কী? পরিসংখ্যান বলছে, স্বাস্থ্যবিমায় চিকিৎসার খরচ পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। ইনসিওরেন্স অম্বুডসম্যান বা বিমা লোকপালে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ জমছে। বছর বছর অভিযোগের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, বিমা করানোর পর সুষ্ঠু পরিষেবা না মিললে গ্রহকরা বিমা লোকপালে অভিযোগ জানাতে পারেন। শর্ত অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়া গেলে বা কম টাকা পাওয়া গেলেও, লোকপালের দ্বারস্থ হওয়া যায়। জীবনবিমা বা সাধারণ বিমার ক্ষেত্রেও অভিযোগ জানানো যায়। বিমা লোকপালের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্বাস্থ্যবিমা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দেশে ১২,৭২১টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থ বছরে অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে হয় ২১ হাজার ৯১৬। ২০২২-২৩ সালে আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ হাজার ১৫৩। তিন বছরে বাংলা থেকে অম্বুডসম্যানে যথাক্রমে ১ হাজার ১৬১, ১ হাজার ১২৭ এবং ১ হাজার ২৭২টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
বিমা লোকপালে অভিযোগ জানালে কি সমাধান হয়? গত অর্থবর্ষে গোটা দেশে ২৯ হাজার ১৫৩টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ১২ হাজার ৩৪৮টিকেই ভিত্তিহীন বলেছিল বিমা লোকপাল। ৫,৯৭২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগকারী পক্ষে গিয়েছিল রায়। বাকি ক্ষেত্রগুলিতে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে, বহু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থার পক্ষে রায় গিয়েছে। যদিও বিমা লোকপালের দাবি, এক মাসের মধ্যে তাদের কাছে আসা অভিযোগগুলির সিংহভাগের নিষ্পত্তি হয়।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসার লাগামহীন খরচের কারণে স্বাস্থ্যবিমা করানোর ঝোঁক ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় টাকা না মেলার চিত্র সামনে আসতেই দেশজুড়ে গ্রাহকদের চিন্তা বাড়ছে।