পুজোয় জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করে এখন পেটের অবস্থা বেহাল! সুস্থ থাকতে কী করবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কথায় আছে- পেট ভালো যাঁর, সব ভালো তাঁর। আর যাঁরা পেটের সমস্যায় ভুগতে থাকেন, তাঁদের সমস্যার কোনও অন্ত নেই। পেটের কত-শত রোগ! তালিকায় রয়েছে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অরুচি, ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকঠিন্য। তারপর পুজোর ক’টা দিন পেটের উপর যথেচ্ছ অত্যাচার করেছেন। তার জেরেই শুরু হয়েছে হজমের সমস্যা। এর পর পেটে মেদ জমতে শুরু করলে তা নিয়ে আবার অন্য এক বিপত্তি শুরু হবে।
এই পরিস্থিতিতে কী করবেন? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পেট ভাল রাখতে মজানো খাবার বা ফার্মেন্টেড ফুডের জনপ্রিয়তা ইদানীং বেড়েছে। এই ধরনের ফার্মেন্টেড খাবারের মধ্যে ভাল ব্যাক্টেরিয়া পরিমাণ বেশি থাকে। তা অন্ত্র ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই হজমের সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের টক দই, ছাঁচ, ঘোল, বাটারমিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাইরের ভাজাভুজি, ফাস্টফুডের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। রাস্তায় হাঁটতে-চলতে গিয়ে ফুটপাতের স্টলে চোখ গেলেও মন সামলান। মধ্যাহ্নভোজ এবং ডিনার সারুন যতটা সম্ভব হালকা খাবার দিয়ে। বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
দুপুরে চিকেনের পাতলা ঝোল খেলে, রাতে একেবারে ডাল-সবজি দিয়ে ভাত বা রুটি খান। আমিষ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল! পনির বা শাক-সবজি খান। মুখে রুচি না থাকলে দুপুরের খাবারটা শুধু তিতো ডাল বা সবজি ডাল মানে সবরকমের সবজি ডালে ফেলে নামানোর আগে ঘি দিন, সেটা দিয়ে ভাত দারুণ লাগে। আরেকটা হল সুক্তো! মুখের রুচি ফেরাতে কিংবা পেটে গণ্ডগোলকে ঠাণ্ডা করতে মা-ঠাকুমাদের চিরাচরিত ভরসার জায়গা ছিল এই পদ। পেঁপের তরকারি খেতে পারেন। পেট ঠান্ডা রাখে।
অন্তত ২০-২৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন। এটি আপনার পেট ও হার্টকে ভাল রাখতে সাহায্য করবে। জোয়ান ও জিরের জল আপনাকে অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে। জোয়ানের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা হজমজনিত সমস্যা দূরে রাখে। পাশাপাশি জিরের জল খেলেও পেটের গ্যাস কমে এবং হজম স্বাস্থ্য উন্নত হয়। রাতে গরম জলে জোয়ান ও জিরে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এই জল ছেঁকে পান করুন।