‘হাউ ইজ দ্য জোশ! দিলীপ ঘোষ, দিলীপ ঘোষ’- বঙ্গ বিজেপির ‘আদি’দের স্লোগান!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বঙ্গ বিজেপির মুষলপর্ব শুর হয়ে গিয়েছে। পরের পর ভোটে পরাজয় থেকে পার্টি অফিসের কোন্দল কার্যত খোলা বাজারে নেমে এসেছে। দলবদলুদের হাতে চলে যায় পদ্ম-পার্টির রাশ। কলকাতার হেড কোয়ার্টার ছেড়ে সল্টলেকে উঠে যায় পার্টি অফিস। অলিখিতভাবে কর্মী-সমর্থকদের জন্য কিন্তু সেই অফিসের দরজা বন্ধ। রাস্তার পরিবর্তে বঙ্গ বিজেপির উপস্থিতি বেশি ধরা পড়ে ফেসবুক-ট্যুইটারে। দলের এই ‘ক্ষয় রোগ’ উপশমে বসে যাওয়া অভিজ্ঞ কর্মী-নেতাদের পক্ষে বারবার সওয়াল করেছেন দিলীপবাবু।
রাজ্য পার্টির বর্তমান শাসক গোষ্ঠী সোমবার পর্যন্ত বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করে উঠতে পারেনি। তার আগেই গেরুয়া অক্ষে নিজের ‘অনুগামী’দের নিয়ে ঘটা করে অনুষ্ঠান সেরে ফেললেন মেদিনীপুরের সাংসদ। পুরনো কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পার্টির ‘আদি’ সদর দপ্তরে সোমবার বিকেলে জলযোগ সহকারে বিজয়া সারলেন দিলীপ। কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে ভুলতে বসা ৬ মুরলী ধর সেন লেনের অফিস গমগম করছিল। এবার দিলীপ বনাম সুকান্ত দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কলকাতার হেড কোয়ার্টার ছেড়ে সল্টলেকে উঠে যায় পার্টি অফিস। অলিখিতভাবে কর্মী-সমর্থকদের জন্য কিন্তু সেই অফিসের দরজা বন্ধ। রাস্তার পরিবর্তে বঙ্গ বিজেপির উপস্থিতি বেশি ধরা পড়ে ফেসবুক-ট্যুইটারে। দলের এই ‘ক্ষয় রোগ’ উপশমে বসে যাওয়া অভিজ্ঞ কর্মী-নেতাদের পক্ষে বারবার সওয়াল করেছেন দিলীপবাবু। কিন্তু পূর্বসূরির পরামর্শ কানেই তোলেননি বর্তমান রাজ্য সভাপতি। ফলস্বরূপ পার্টি অফিসের বাইরে সুকান্ত-অমিতাভদের ছবিতে জোটে বিক্ষুব্ধদের জুতো-লাথি। আর এদিন সেখানেই উঠল দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ স্লোগান। বহু প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও পদাধিকারী এদিন দিলীপবাবুর বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন।
রবিবার রাতেই বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে দলের পুরনো কর্মীদের কাজে ফেরানো নিয়ে দিলীপ দাবি তোলেন বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা যায়। এটাও শোনা যায় যে কী ভাবে এই কাজ করতে হবে তার পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ছোট ছোট এলাকা ধরে দলের বিজয়া সম্মেলন করে যে সব ‘আদি’ নেতা, কর্মীদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁদের ডাকা হোক। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপি কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও দিলীপ সোমবার সকালেই জানিয়ে দেন মুরলীধর সেন লেনের দপ্তরে বিজয়া সম্মেলন করবেন তিনি।
সেই মতো সোমবার বিকেল ৫টায় ৬ মুরলী ধর সেন লেনের অফিসে চলে আসেন দিলীপ ঘোষ। পরে দিলীপকে ঘিরে দেখা গেল উল্লাস। স্লোগান উঠল— ‘হাউ ইজ দ্য জোশ! দিলীপ ঘোষ, দিলীপ ঘোষ।’
সুকান্ত মজুমদার নন, কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে—এদিনের অনুষ্ঠান থেকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে এর ছবি-ভিডিও।