কেন শিলিগুড়ির ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’-র সীমানা পুনর্বিন্যাসের আর্জি জানাচ্ছে SMC?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে থাকা ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’-র আয়তান তথা সীমানা সংশোধন করার জন্যে রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করতে চলেছে শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। প্রসঙ্গত, ২০২০-র সেপ্টেম্বরে কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত অঞ্চলগুলিকে ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উল্লেখ্য, ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’গুলিতে কোনওরকম নির্মাণ কার্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া ও রাজগঞ্জ ব্লকের আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম এবং শিলিগুড়ি শহরের ৪২ এবং ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড দুটি ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’-র অধীনে এসেছে। উৎসব মিটলেই রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য আর্জি জানাবেন শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’-র দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে এক কিলোমিটারে নামিয়ে আনার আবেদন করা হবে। কারণ বিজ্ঞপ্তির জেরে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলগুলিতে নির্মাণকাজের অনুমোদন দিতে পারছে না।
জানা যাচ্ছে, শিলিগুড়ি শহর এবং তার আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’-র আওতায় এসেছে। কারণ ওই বিস্তীর্ণ অঞ্চল কার্শিয়ং, মহানন্দা এবং বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের অরণ্যাঞ্চলের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। যার মধ্যে মাটিগাড়ার একটি বড় জনপদ রয়েছে। জোনের পরিসর সংশোধনের দাবি জানাচ্ছে শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই সরকারেরই অনুমোদন প্রয়োজন। ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’-র সীমানা এক কিলোমিটার করার জন্য একটি প্রস্তাব জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলার জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হবে বলেও ঠিক হয়েছিল বিগত মাসে। ইতিমধ্যেই ‘ইকো সেন্সেটিভ জোন’গুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।