দেশ বিভাগে ফিরে যান

DBT প্রকল্পে বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক! বাংলাকে বেগ দিতে ফন্দি মোদী সরকারের?

November 2, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নানানভাবে বাংলাকে বেগ দিতে মরিয়া মোদী সরকার। DBT প্রকল্পে বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক করে কি তেমনই কোনও ফন্দি এঁটেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের সাহায্যে চলা ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার প্রকল্পগুলিতে বায়োমেট্রিক চালু করার কথা জানিয়ে বাংলাকে চলতি সপ্তাহে একটি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। রাজ্যের অন্দরে নানা প্রশ্ন, জল্পনা জোরদার হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, যে’সব প্রকল্পে আওতায় উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক অনুদান পৌঁছে দেওয়া হয়, সেগুলিকে প্রশাসনিক পরিভাষায় DBT প্রকল্প বলা হয়। পিএম কিষান, এনএসএপি, ছাত্রছাত্রীদের নানা স্কলারশিপ-সহ বেশ কিছু DBT প্রকল্পে মোদী সরকারের আংশিক অর্থ সাহায্য পায় রাজ্য। সে’সব প্রকল্পের প্রত্যেক উপভোক্তার বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক করেছে মোদী সরকার। সেই মর্মেই অর্থমন্ত্রক রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। আরও জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ না করলে সমস্ত প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

বাংলায় এখন কেন্দ্রীয় সাহায্য প্রাপ্ত DBT প্রকল্পগুলির উপভোক্তা সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এই বিপুল সংখ্যক উপভোক্তার বায়োমেট্রিক নিশ্চিত করা সময়সাপেক্ষ ও ব্যায়বহুল। সরকারি আধিকারিকদের মতে, এত জনের আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি নিতে বছর পেরিয়ে যাবে, মোদী সরকার যদি এই কারণ দেখিয়ে টাকা বন্ধ করে দেয়, তা অমানবিক হবে। অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলাকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে ফের নয়া কৌশল নিয়েছে মোদী সরকার।

মনে করা হচ্ছে, এহেন সিদ্ধান্তে প্রবীণ নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন। বহু প্রবীণ মানুষ কেন্দ্রের সহায়তাপ্রাপ্ত এনএসএপি প্রকল্পে বার্ধক্য ভাতা পান। বয়স্ক মানুষের আঙুলের ছাপ সঠিকভাবে নেওয়া যায় না। বস্তুত দুর্ভোগের আশঙ্কা থাকছেই। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়। এখন বাংলায় কাজগুলি প্রায় বন্ধ।

আবাস প্লাস প্রকল্পের আওতায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার পরেও, এক টাকাও ছাড়েনি মোদী সরকার। আগেকার আবাস সফ্ট প্রকল্পে কিছু উপভোক্তার বাড়ি তৈরির কাজ এখনও চলছে। সেই উপভোক্তাদেরও বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক হয়েছে। অনুমোদিত ১১ লক্ষ বাড়ির ক্ষেত্রেও উপভোক্তাদের বায়োমেট্রিক করতে হবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হবে।

শোনো যাচ্ছে, রাজ্যের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে গোটা বিষয়টি। সাধারণ মানুষকে যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তেমনই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য, এমনই বলছেন আধিকারিকরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Biometrics, #DBT scheme, #Direct Benefit Transfer, #modi govt

আরো দেখুন