বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

#EXCLUSIVE শহরে কালী পুজো বিষয়ক প্রশিক্ষণ শিবির

November 2, 2023 | 3 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা আকাদেমি আয়োজিত তিনদিনের কালী পুজো বিষয়ক প্রশিক্ষণ শিবির প্রসঙ্গে টেলিফোনিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুশারী

দৃষ্টিভঙ্গিকে কী জানালেন?

কালীপুজোর এই প্রশিক্ষণ শিবিরে মূলত কী শেখানো হচ্ছে?

উত্তর: একজন পুরোহিত বা একজন যজমানের কিরকম আচরণ হয়? সেই আদর্শ আচরণ বিধির পাঠ দেওয়া হয়। প্রথমে সংস্কৃত, ব্যাকরণ এবং সাথে সাথে মন্ত্রোচ্চারণের যে রীতিটা- ঋষি, ছন্দ, দৈবত-এর উচ্চারণটা ভুল হলে বা ছন্দটা এলোমেলো হয়ে যায়। তার অর্থটা পাল্টে যায়। তখন পুজোটা আর পুজোর পর্যায়ে থাকে না, তখন সেটা বিনষ্টির পর্যায়ে চলে যায়। সেজন্য উচ্চারণ বিধিটাকে আমরা জোর দিই। তার মধ্যে ছন্দটাও থাকে। কিন্তু কালী কে? এই KYC টা আমরা আগে আলোচনা করলাম। তারপর আমরা দেখাই পুজো বিধি। সেখানে অনেকরকম তিথি নক্ষত্রের গল্প আছে। তারপর তিথি তত্ত্বে যেতে হল। তারপরেই সংকল্প, বাক্যরচনা, যার জন্য সংস্কৃত ব্যাকরণ। তারপরেই ষষ্ঠীবাচন সংকল্প। কালী পুজো তত্রোক্ত পুজো, সাধারণ পুজোর থেকে এর অনেকটা তফাৎ। তার জন্য তত্রোক্ত বিধি অর্থাৎ তত্রসার ও শ্যামা রহস্য, সেই জায়গা থেকে আমরা সমস্ত কিছু আলোচনা করি। 

দুর্গাপুজো যেমন দুর্গোৎসব তত্ত্ব, এখানে তেমনই শ্যামা রহস্য ও তত্রসার, সেখানে কালীর বিশেষ পুজোর বিধি। সেখান থেকে উদ্ধৃত করে আমাদের আলোচনাটা চলে। ন্যাশ, বলিদান, অর্পন, অভিষেক, তারপর তত্রতে যেটা আছে তা আমরা আলোচনা করবো। তারপরে কুমারী পুজো, তারপরে হোম।  মানে মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতা জাগানো। মানে তুমি পুজোকে ঘিরে উৎসব করতেই পারো কিন্তু পুজোকে অবহেলা কোরো না। এটা অবহেলা করলে এই উৎসবটা কিন্তু ঠিকঠাক হবে না। অর্থাৎ তোমাকে আগে অন্তর্দৃষ্টি দিতে হবে পুজোর দিকে। সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো। এ বিষয়ে মিডিয়া ভীষণভাবে এগিয়ে আছে। সেজন্য আমরা মিডিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ।  

এই প্রশিক্ষণ শিবিরে কতজন অংশগ্রহণ করেছে? 

উত্তর: ঐ কুড়ি জনের মতো। 

এখনে কি সবাই কলকাতার মানুষ? কতজন আছেন বাইরের?

উত্তর: না, বাইরে থেকেও এসেছে‌ন।  বাইরে থেকে মনে হয় চার জন এসেছেন‌। কলকাতার বাইরে, দেশের বাইরে কেউ আসেন নি।

 

এঁরা সকলে কি বাঙালি? এই অনুষ্ঠানটা কটা থেকে কতক্ষন চলছে? 

উত্তর: প্রত্যেকেই বাঙালি। পয়লা নভেম্বর থেকে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা।  

আপনা কি একাই এটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন?

উত্তর: হ্যাঁ

 দীপাবলির এই প্রশিক্ষণ কি এবারে প্রথমবার? 

উত্তর: প্রথম আমাদের এই অনুষ্ঠান হয়েছিল ১৯৯০ সালে। তখন মুরাল ভাই ছিলেন না। তখন ছিলেন সিদ্ধেশ্বর ভাই। আদ্যাপীঠের তিনি অধ্যক্ষ ছিলেন, সম্পাদক ছিলেন। উনি আমাদের ডেকেছিলেন। আদ্যাপীঠের নাটমন্দিরে অনুষ্ঠানটি প্রথম হয়েছিল। তারপর এই ব্যাপারটা আমরা করে উঠতে পারিনি। কিন্তু তারপর গত ১৫ বছর ধরে আমরা জোড়াসাঁকো শ্রীকৃষ্ণ দাঁয়ের বাড়িতে করছি।   

তারমানে এর ইতিহাসটা অনেক দিনের!

উত্তর: এর ইতিহাসটা অনেক দিনের। এটা বিস্মৃতির অতল গহ্বরে চলে গিয়েছিল। তারপর মানুষের অনুরোধ বা চাহিদা অনুসারে আমরা ফের তিন দিনের জন্য কালীপুজোর প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করি। 

টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মধুরিমা রায়

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#kali puja, #Dr. Jayanta Kushari, #Jayanta Kushari, #Kali Puja 2023, #training camp

আরো দেখুন