নরেন্দ্র মোদীর আমলে দেশের বেকারত্ব রেকর্ড গড়েছে, বলছে সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার কারণে ভোট-প্রচারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে তুলোধোনা করতেন।
মোদী দাবি করতেন, ইউপিএ সরকারের নীতিপঙ্গুত্ব এবং দুর্নীতির কারণেই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ ছুঁতে পারছে না। ইঙ্গিত দিতেন, তিনি দেশের হাল ধরলে বদলাবে পরিস্থিতি। সেটা ছিল ২০১৪ সাল। এখন এই ২০২৩-এ ছবি কিন্তু একেবারেই অন্য কথা বলছে।
মোদী সরকারের আমলে একদিকে বেকারত্ব বৃদ্ধি, অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আগুন দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব বিরোধীরা। বছরে দু’কোটি চাকরির স্বপ্ন ফেরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই স্বপ্ন আর বাস্তব হয়ে ওঠেনি। উল্টে বেকারত্ব ভেঙে দিয়েছিল গত ৪৫ বছরের রেকর্ড। সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসে বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে ১০.০৯ শতাংশে। গত দু’বছরেরও বেশি সময়কালে যা সর্বাধিক। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা গ্রামাঞ্চলে। সেখানে এই হার ৬.২ শতাংশ থেকে একধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ১০.৮২ শতাংশ। শহরে অবশ্য তা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৪৪ শতাংশে। কর্মসংস্থানে এমনই বেহাল দশা উঠে এসেছে সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমির রিপোর্টে।
বেসরকারি সংস্থা সিএমআইইর পরিসংখ্যান অনুযায়ী অক্টোবর মাসে গ্রামীণ ভারতে বেকারত্বের হার এভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে বৃষ্টিপাতের ঘাটতিকেই দায়ী করছেন অনেকে। পাশাপাশি সরকারি তরফে বিকল্প কাজের সুযোগ তৈরি না হওয়ায় ভুগতে হচ্ছে কর্মপ্রার্থীদের। সিএমআইইর চিফ এগজিকিউটিভ মহেশ ব্যাস স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘গত পাঁচ বছরে ভারতে কর্মসংস্থান বাড়েনি।’ এই নিরাশাজনক ছবি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীর সমস্যা আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।