আপনার হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হচ্ছে না তো! সতর্ক বার্তা দিচ্ছে পুলিশ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অনলাইনে সাইবার প্রতারণার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে লকডাউনের পড়ে বেড়েছে অনলাইনে লেনদেন। আর সেই সুযোগে নতুন নতুন কায়দায় অনলাইন প্রতারণা করছে প্রতারকরা। এখন নতুনভাবে যে প্রতারণার বিষয়টি পুলিশের সামনে আসছে সেটি হল হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে প্রতারণা। পুলিশ এখন এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
পুলিস জানতে পেরেছে, সাইবার প্রতারকরা এখন অফিসের বস, বন্ধু, সহকর্মী পরিচয় দিয়ে কোড পাঠাচ্ছে। সেই কোড বলে ফেললেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ। উল্টোদিকে তার নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে। সাইবার প্রতারকদের এই নতুন কৌশল সম্পর্কে দেশজুড়ে পুলিস সচেতনও করছে। হোয়াটসঅ্যাপ সুরক্ষিত রাখার পরামর্শও দিচ্ছে। যাতে ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের মাধ্যমে ছড়িয়ে না পড়ে।
দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের হাতে এখন স্মার্টফোন। সাধারণ এসএমএসের বদলে এখন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেই মানুষ বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ, চ্যাটের সঙ্গে পাঠানো যায় ছবি ও ভিডিও। সেই সঙ্গে রয়েছে গ্রুপ তৈরি করার সুযোগ। তাই হোয়াটসঅ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই হোয়াটসঅ্যাপকেই এবার বেশি করে টার্গেট করছে স্ক্যামাররা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে সাইবার প্রতারকরা যে কোনও গ্রাহকের মোবাইলে কোড পাঠিয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ফোন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করত। কিন্তু, অচেনা নম্বর হওয়ায় অভিজ্ঞরা তা শেয়ার করতেন না। কেউ কেউ ফাঁদে
পা দিতেন।
এবার প্রতারকরা প্রথমে ‘ট্রোজেন’ জাতীয় ভাইরাস অথবা লিঙ্ক পাঠিয়ে অফিসের বস, সহকর্মী বা বন্ধুর ফোন হ্যাক করছে। তারপর তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের আওতায় নিয়ে বাকি সহকর্মী ও বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপে ওই কোড পাঠাচ্ছে। ওই কোড বলে ফেললেই প্রতারকরা নিজেদের স্মার্টফোনে গ্রাহকের হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ফেলছে। তারপরই অন্যদের অশ্লীল ছবি, ভিডিও পাঠিয়ে শুরু করছে সাইবার প্রতারণা। অন্যদিকে, আসল গ্রাহকের হোয়াটসঅ্যাপ হয়ে যাচ্ছে লগ আউট!
সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হোয়াটসঅ্যাপে কোনও কোড পাঠালে কখনই তা শেয়ার করা চলবে না। দ্বিতীয়ত, নিজের হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অ্যানাবেল করে রাখা দরকার। তাতে হ্যাক হলেও, প্রতারকরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না।