হেমন্ত উমার আরাধনা, জানেন কোথায় রাখাল রূপে দেবী পুজো পান?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেবী কালীর মর্ত্যে আসার পালা, আলোর উৎসবের অপেক্ষায় দিন গুনছে বাংলা। কালীপুজোর আগে ফের মর্ত্যে দেবীবোধন হয়। শনিবার ‘রাখাল’ রূপে দেবী উমা পূজিতা হলেন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বারডাঙায়। এখানে দুর্গাপুজো একদিনেই মিটে যায়।
বারডাঙার ময়দানের প্রাচীন ঠাকুরদালানে দেবীর পুজো হল। পুজো উপলক্ষ্যে বসেছে মেলা। চার দিনের মেলা শেষে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের আগেই দেবীর বিসর্জন হবে। তারপরই শুরু হবে দীপাবলির প্রস্তুতি। উত্তর দিনাজপুরের দোমহনায় বইছে সুধানী নদী। নদীর পাড়ে বারডাঙার দেবীর পুজোর আয়োজন হয়। ইংরেজ শাসনের আগে থেকেই এই পুজো চলছে।
দশমীর ১৪ দিন পর রাখালরা পুজোর আয়োজন করে। এই এলাকায় কোনওদিনই দুর্গাপুজো হত না। অভাবী এই জনপদের মানুষেরা উৎসবের মরশুমে দুঃখে থাকত। রোজগারের জন্য ব্যস্ত থাকতেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে পুজো করার ইচ্ছে থাকলেও হত না। দুর্গাপুজোর ছুটি মিলত না।
লক্ষ্মীপুজোর পর ছুটিতে বাড়ি ফিরতেন জনমজুররা। তারপর দেবীর পুজোর আয়োজন করতেন। কত বছর আগে পুজো শুরু হয়েছিল, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সব ইচ্ছেপূরণ করেন জাগ্রত দেবী দুর্গা। পুজোর পর পশুবলি হয়। হাজার হাজার ভক্তদের ভিড় জমে পুজোয়।