দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

জাঙ্গিপাড়ার আঁটপুরের আনরবাটী গ্রামের বড় কালীর পুজোর কাহিনি জানেন?

November 6, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হুগলির জাঙ্গিপাড়ার আঁটপুরের আনরবাটী গ্রামে বড় কালীর পুজো হয়। চতুর্দশী তিথিতে শুরু হয় রক্ষাকালীর পুজো‌। ওই তিথিতেই পুজো শেষ করে সূর্যোদয়ের আগেই বিসর্জন দেওয়া হয়। বড় কালীকে ঘিরে কাহিনির শেষ নেই। এই পুজোর বয়স আড়াইশো বছরেরও বেশি প্রাচীন। পুরনো পুজোর বেদি এখনও মাটিরই রয়েছে। বেদীতে রয়েছে পঞ্চমুণ্ডীর আসন। সেখানেই দেবীর পুজো হয়। নীল রঙের দুই হাতের রক্ষাকালী মূর্তি বিরাজ করে মন্দিরে। প্রতিমার উচ্চতা ১৫ ফুট। এখনও এই মন্দিরে বলিদানের চল রয়েছে।

এই গ্রামে কোনও শ্যামা কালীর পুজো হয় না। কালীপুজোর আগের দিন ছেলে কালী, মেজ কালী, নেড়া কালী ও আরও পাঁচটি কালী পুজো হয়। মূল পুজো হয় গ্রামের বড়মার। কথিত আছে, গ্রামে একবার মহামারী হয়েছিল। তখন সব্বাই গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করে। দাহ করার পর্যন্ত লোক মিলছিল না গ্রামে। জনৈক এক গ্রামবাসী হরিপ্রবোধ মিত্র তাঁর ঠাকুরমাকে নিয়ে গ্রাম থেকে চলে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় এক মহিলার সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। মহিলা বলেন, গ্রাম ছেড়ে যেতে হবে না। তিনিই শবদাহের মাঠে পুজো শুরুর পরামর্শ দেন। গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায়, সরকার, বিশ্বাস, দত্ত, দে-সহ কয়েকটি পরিবার মিলে পুজো শুরু করে। মিত্র বাড়ি হয় পুজোর সেবায়েত। বন্দ্যোপাধ্যায়রা পৌরহিত্যের দায়িত্ব নেই। পুজো শুরুর পর মহামারী থামে।

কালীর নির্দেশ মেনে আজও মণ্ডপে তালপাতা ব্যবহার করা হয়। পাকা মন্দির করার নির্দেশ নেই। দেবীকে চিনির সন্দেশ দেওয়ার রীতি রয়েছে। অসুস্থ থেকে সন্তানহীনা সকলেই মায়ের আশীর্বাদ নিতে আসেন মন্দিরে। কালীপুজোর আগের দিন লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kali pujo, #jangipara

আরো দেখুন