রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

BJP-র বিজয়া সম্মিলনীতে ‘বিভীষণ তত্ত্ব’, ফের প্রকাশ্যে গেরুয়া কোন্দল?

November 7, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোনও মতেই কমছে না কোন্দল। এবার সেই আগুনে ঘি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তাঁর মতে, এখন বঙ্গ বিজেপিতে পদ মানেই গোলাম হয়ে যাওয়া। বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে এসে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাঘনাপাড়ায় এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মন্তব‌্য করেন অনুপম। বলেন, ‘ঘরশত্রু বিভীষণদের ঝাঁটা মেরে বের করতে হবে’। অনুপমের এই মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ঘিরে চরমে উঠল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রবিবার, কালনার কৃষ্ণদেবপুরে বিজেপির কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। সোমবার সেই এলাকার তাঁতিপাড়ায় একটি লজে বিজেপির অন্য এক গোষ্ঠী বিজয়া সম্মিলনী করে। সেখানে হাজির হন অনুপম হাজরা। বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বেশির ভাগ নেতার দেখা সেখানে মেলেনি। অনুপমের দাবি, লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে, দলের কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ তত বাড়ছে। যা শুভ সঙ্কেত নয়।

অনুপম অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার আগেই সমাজ মাধ্যমে পোস্টে দাবি করেন, কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বঞ্চিত, অবহেলিত, বসিয়ে রাখা ও পদহীন বিজেপি নেতা-কর্মীদের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। পরে ফের তিনি সমাজ মাধ্যমে দাবি করেছেন, অনুষ্ঠানে কর্মীদের উপস্থিতি সংখ্যা প্রমাণ করছে, বসিয়ে রাখা বা পদহীনদের সাংগঠনিক ক্ষমতা কতটা! অনুপমের আরও দাবি, এখন বঙ্গ বিজেপির যা অবস্থা, পদ মানেই আপনি তাদের গোলাম হয়ে গেলেন। পান থেকে চুন খসলেই আপনি শোকজ, না হলে সাসপেন্ড অথবা পদ চলে যাবে। তিনি প্রশ্ন তুলছেন, সবাই কি চাকর হতে ভালোবাসে নাকি?

তিনি বলেন, দলে যারা ‘বিভীষণ’ রয়েছেন, তাদের বার করে দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, দলের অন্দরে অনেককেই বলতে দেওয়া হচ্ছে না। অবেহেলার শিকার হয়ে তাদের ক্ষোভ বাড়ছে। সংগঠকদের কেন বসিয়ে রাখা হচ্ছে, রাজ্য যে দু’তিন জন চালাচ্ছেন তাদের দেখা উচিত। আরও দাবি করছেন, কিছু নেতা রয়েছেন যারা সকালে বিজেপি, রাতে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি লোকসভা আসন অনুযায়ী রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ক্ষোভের বিষয় যা দেখছেন, তিনি তা পাঠাচ্ছেন। অনুপম আরও বলেন, সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশে যারা দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন, তাঁদের সামনে আনার চেষ্টা চালচ্ছেন। যে ডাকবে, তিনি আহ্বানে সাড়া দেবেন বলেও জানান।

অন্যদিকে, বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলছেন, দলে কোনও কোন্দল নেই। ওটা দলের অনুষ্ঠান নয়। তাই জেলা নেতারা ছিলেন না। কেন্দ্রীয় নেতা কোথাও ব্যক্তিগত ডাকে সাড়া দিয়ে যেতেই পারেন। তা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Anupam Hazra

আরো দেখুন