রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পুজো শেষ হতেই অনুষ্ঠানের বায়নার জন্য হুড়োহুড়ি, হাসি ফুটেছে ‘মাচা’ শিল্পীদের

November 7, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নেটফ্লিক্স-ফেসবুকের যুগে আজও গ্রামবাংলার বিনোদনের অন্যতম রসদ এই ‘মাচা শো’। পছন্দের নায়ক-নায়িকাকে হাতের নাগালে পেতে এই শোয়ের জুরি মেলা ভার। শুধু কী তাই, সাধের দর্শকদের হাততালির আওয়াজ শুনতে মুখিয়ে থাকেন টলিপাড়ার তারকারও। পাশাপাশি সেলেবদের ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও বাড়ে।

পুজো থেকেই শুরু হয়ে যায় এই স্টেজ শোয়ের মরসুম। ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-তো ভরা মরসুম। শয়ে-শয়ে দর্শকের ভালবাসা, উন্মাদনার যে কী টান, তা তারকা মাত্রেই জানেন! সেই সঙ্গে মা লক্ষ্মীর দাক্ষিণ্য তো বটেই। করোনার ধাক্কা কেটে গিয়েছে। উৎসবের মরশুমে বিনোদনে মাতোয়ারা মানুষ। পুজোর শেষে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বায়নার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত অনেক সংস্থারই বুকিং শেষ। স্বভাবতই মুখে হাসি ফুটেছে শিল্পীদের।

করোনার থাবায় অন্য পেশার মানুষদের মতো শিল্পীদেরও আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু এবার উৎসবের মরশুমে শিল্পীরা ফের অনুষ্ঠানের বরাত পাচ্ছেন। বাঁকুড়ার এক সংগীত শিল্পী বিধানচন্দ্র দত্ত বলেন, করোনার আগে অনুষ্ঠানে ভালো সাড়া ছিল। কিন্তু করোনা কালে তা মুখ থুবড়ে পড়ে। অনলাইন প্লাটফর্মে কিছু অনুষ্ঠান করেছিলাম। শিল্পীদের সামান্য সাম্মানিকও দেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিল না। তবে করোনার বিধিনিষেধ উঠে যেতে অনুষ্ঠানে ভালো সাড়া মিলছে। আগের তুলনায় এখন প্রায় পাঁচগুণ বেশি অনুষ্ঠানের ডাক আসছে।

বাঁকুড়ার এক সংগীত সংস্থার সম্পাদক অমিতকুমার কোলে জানান, এখন বিভিন্ন পুজোতে অর্কেস্ট্রা করাতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। ফলে আগের তুলনায় অনুষ্ঠানের চাপ বেড়েছে। দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ২২টি অনুষ্ঠান করেছে আমাদের পরিচিত নানা ব্যান্ড। এবার কালীপুজোর জন্য ছ’দিন বুকিং হয়ে গিয়েছে। তারপরেও অনেকে ফোন করে অনুষ্ঠান করাতে চাইছেন। কিন্তু শিল্পীর অভাবে বুকিং নেওয়া যাচ্ছে না। আপাতত কার্তিক পুজো পর্যন্ত ফুল বুকিং হয়ে গিয়েছে। জগদ্ধাত্রী পুজোর বুকিং করতে অনেকে ফোন করছেন। এরফলে শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#musicians, #artist

আরো দেখুন