ফিরে দেখা ২০১৬-র নোটবন্দী: মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের জেরেই এঁদের প্রাণ গিয়েছিল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দীর ঘোষণা করেন মোদী। অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। প্রাণ হারান বহু মানুষ। দেখে নেওয়া যাক মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে প্রাণ হারানো মানুষদের তালিকা:
দিল্লি: রাজধানীতে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল।
- বীরেন্দ্র বসোয়া – ১২ লক্ষ টাকা বদলাতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।
- সৌদ-উর-রহমান (বয়স ৪৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষারত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।
- রিজওয়ানা (বয়স ২৪ বছর) – তিন দিন ধরে পুরনো নোট বদলাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
- সতীশ (বয়স ৪৯ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষা করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন।
গুজরাত: মোদী-শাহের রাজ্যে পাঁচজনের প্রাণ গিয়েছিল।
- পঞ্চাশ বছর বয়সী এক মহিলা, পরিবারের জন্য খাবার কিনতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
- ৬৯ বছর বয়সী মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়।
- বরকত শেখ – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মৃত্যু হয়েছিল।
- অজ্ঞাত- ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গিয়েছিলেন।
- প্রেম শঙ্কর প্রজাপতি (বয়স ৩৩ বছর) – (ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার) মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন।
বাংলা: ন’জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন।
- ধরণীকান্ত ভৌমিক (বয়স ৫৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষারত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।
- মধু তিওয়ারি – এটিএম থেকে নতুন নোট ছাড়াই বাড়ি ফেরার কারণে স্বামীর হাতে খুন৷
- শিবু নন্দী – শ্রমিকদের মজুরি দিতে না পারায় আত্মহত্যা করেছিলেন।
- পুরনো নোট বদলাতে না পারায় এবং ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় সীতারাম আত্মহত্যা করেছিলেন।
- রবীন মুখার্জি (বয়স ৭৩ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গিয়েছিলেন।
- বিশ্বদেব নস্কর – পেনশন তোলার জন্য ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু।
- কল্লোল রায় চৌধুরী-ব্যাঙ্কের লাইন দাঁড়িয়ে মৃত্যু।
- অজ্ঞাত-ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু।
- শ্রীমন্ত সরকার – নোট বদলাতে না পেরে আত্মহত্যা।
হরিয়ানা: মোট মৃত্যু তিন।
- রাজেশ কুমার (বয়স ৫৬ বছর) – নিজের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে টানা তিন দিন কাজ করার জেরে মৃত্যু।
- অজ্ঞাত- ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু এক মহিলার।
- কৌশল্যা দেবী (বয়স ৮০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ বোধ করেছিলেন। হাসপাতালে মৃত্যু।
জম্মু ও কাশ্মীর: একজন মারা গিয়েছিলেন।
- মুনির (বয়স ৮ বছর) – অসুস্থ ছিলেন, ক্যাব ড্রাইভার পুরনো নোট নিতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালে পৌঁছতে দেরী হয়েগিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঝাড়খণ্ড: মোট মৃতের সংখ্যা চার
- লবকুশ- অর্থনৈতিক চাপে মৃত্যু।
- লক্ষ্মী (লবকুশের দিদা)- নাতির মৃত্যুর খবর শুনে মৃত্যু।
- রামচন্দ্র পাসওয়ান – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- বিন্দু কুমারী- কলেজ ছাত্রী, কলেজের ফি দিতে টাকা তুলতে না পেরে আত্মহত্যা।
কর্ণাটক: দুই মৃত্যু
- গোপাল শেট্টি (বয়স ৯৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- অজ্ঞাত চল্লিশ বছরের মহিলা। আত্মহত্যা করেছিলেন কারণ ব্যাঙ্কে পনেরো হাজার টাকা বদলাতে গিয়ে তা চুরি হয়ে গিয়েছিল।
কেরালা: মোট চার জনের মৃত্যু।
- কার্তিকেয়ান (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- কেকে উন্নি (বয়স ৪৫ বছর)- ব্যাঙ্কের তৃতীয় তল থেকে পিছলে পড়ে মৃত্যু।
- ওমানাকুত্তান পিল্লাই (বয়স ৭৩ বছর) – সমবায় ব্যাঙ্কে জমা করা জীবনের সঞ্চয় তুলতে না পারার ভয়ে আত্মহত্যা।
- চন্দ্রশেখরন (বয়স ৬৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
মধ্যপ্রদেশ: মোট মৃত্যু সাত
- বাবুলাল বাল্মিকি – ব্যাঙ্কে নোট বদলাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু।
- সঞ্জয় প্রজাপত – ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি ফিরে মারা যান।
- বিনয়কুমার পান্ডে – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- অজ্ঞাত-স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ক্যাশিয়ার, দীর্ঘক্ষণ কাজ করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
- হালকে লোধী – রবি মরশুমে সময়মতো সার ও বীজ কেনার টাকা না থাকায় আত্মহত্যা।
- লক্ষ্মণ মেহরা (বয়স ৪৫ বছর) – ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে না পারায় আত্মহত্যা।
- কমল বনশকর (বয়স ৬৫ বছর) – চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু।
মহারাষ্ট্র: সাতজনের মৃত্যু।
- তুকারাম তানপুরে (বয়স ৫৩ বছর) – ব্যাঙ্ক পিওন, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
- দিগম্বর কাসবে (বয়স ৬০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- দীপক শাহ (বয়স ৬০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- নবজাতক শিশু- পুরনো নোট থাকায় হাসপাতাল অসুস্থ নবজাতককে ভর্তি করতে অস্বীকার করেছিল।
- বিশ্ব ভারত (বয়স ৭২ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- আরভি রাজেশ (বয়স ৫১ বছর) – ব্যাঙ্ক কর্মচারী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
- প্রভাকর নারায়ণ রাউত (বয়স ৭২ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে পড়ে গিয়ে মৃত্যু।
অন্ধ্রপ্রদেশ: মোট ছ’টি মৃত্যু।
- রত্ন পিল্লাই (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- বিজয়া লক্ষ্মী (বয়স ৭০ বছর) – পুরনো নোট পরিবর্তন করতে ব্যাঙ্কে প্রবেশ করার সময় মৃত্যু।
- লক্ষ্মীনারায়ণ (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- কোমালি (বয়স ১৮ মাস) – বাবা-মায়ের কাছে ওষুধ কেনার টাকা ছিল না। পুরনো নোট নিতে অস্বীকৃতি করেছিল বেসরকারি হাসপাতাল।
- এসকে শেরিফ (বয়স ৪৬ বছর) – এসবিআই ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার, কাজ করার সময় ভেঙে পড়েন এবং হাসপাতালে মারা যান৷
- এসকে মৌলালি (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের সারিতে দাঁড়িয়ে পড়ে গিয়ে পরদিন হাসপাতালে মারা যান৷ পেনশন তোলার জন্য ১০ দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বিহার: পাঁচ জন মারা গিয়েছিলেন।
- সুরেন্দ্র শর্মা – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- রাম আওয়াধ শাহ (বয়স ৪৫ বছর) – মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যৌতুকের জন্য পুরনো নোট গ্রহণ করবে না, এই ভয়ে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
- লালমুনি দেবী – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- মঞ্জু মানিহি (বয়স ২৩ বছর) – হাসপাতাল পুরনো নোট গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ডায়ালাইসিস না হওয়ায় মৃত্যু।
- হায়দার আলী – হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। নোট বদলানোর জন্য বিভিন্ন শাখায় ঘুরছিলেন।
চণ্ডীগড়: একজনের মৃত্যু।
- বিশন কৌর (বয়স ৬৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
ছত্তিশগড়: একজনের মৃত্যু।
- কৃষক (বয়স ৪৫ বছর)- তিনদিন চেষ্টা করেও পুরনো নোট বদলাতে না পারায় আত্মহত্যা৷
মণিপুর: একজনের মৃত্যু।
- ইবোহানবী আকোলিয়াম (বয়স ৭০ বছর) – পোস্ট অফিসের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু। পেনশন তুলতে গিয়েছিলেন।
ওডিশা: একজনের মৃত্যু।
- শিশু (বয়স ২ বছর) – অটোরিকসা চালকের পরিবারের সন্তানকে হাসপাতাল নিতে অস্বীকার করেছিল কারণ তাদের কাছে পুরনো নোট ছিল।
পাঞ্জাব: ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল।
- সুখদেব সিং – হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু। মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকার কী হবে চিন্তায়।
- বলবীর সিং (বয়স ৫২ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- ভগবান সিং (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- লাকি (বয়স ১৯ বছর)-আত্মহত্যা।
- মালুক সিং (বয়স ৬৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- আশা রানী (বয়স ৪৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
রাজস্থান: পাঁচ জনের মৃত্যু।
- নবজাতক শিশু-অ্যাম্বুলেন্স শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিল কারণ পুরনো নোট।
- জগদীশ পানওয়ার (বয়স ৬২ বছর) – হৃদরোগে মৃত্যু।
- রত্ন রাম (বয়স ৭৫ বছর) – টাকা তোলার পর বমি শুরু হয় এবং ব্যাঙ্কের বাইরে পড়ে মৃত্যু।
- চিরানী লাল (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে যান। হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
- মোডু সিং গুরিয়ার (বয়স ৪৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু।
তামিলনাড়ু: একজনের মৃত্যু
- এম সুব্রামানিয়ান (বয়স ৭০ বছর)– ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
তেলাঙ্গানা: চারজনের মৃত্যু।
- শেখ বশীর – আত্মহত্যা।
- বালিয়াহ (বয়স ৪৫ বছর)– জমির দাম 6-7 লক্ষ প্রতি একর থেকে ২-৩ লাখে নেমে আসায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা। তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন।
- গালাইয়া (বালিয়াহের পিতা) জমির দাম নেমে যাওয়ার পর বিষ খেয়ে মৃত্যু।
- কান্দুকুড়ি বিনোদা (বয়স ৫৫ বছর) – আত্মহত্যা।
উত্তরপ্রদেশ: মোট মৃতের সংখ্যা – ২৮
- ইশতেয়াক আহমেদ (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- মহম্মদ শাহজাদ – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- সুরেশ সোনার- মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। নোট বদল করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
- খালিক হাসান (বয়স ৫৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- সুমিত (বয়স ১৭ বছর) – আত্মহত্যা।
- আজিজ আনসারি (বয়স ৬০ বছর) – ব্যাঙ্কের মধ্যে নোট বদলাতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
- রঘুনাথ ভর্মা (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- শাবানা (বয়স ২০ বছর)- আত্মহত্যা।
- শিশু-হাসপাতাল শিশুকে ভর্তি করেনি। বাবা-মায়ের কাছে শুধু পুরনো নোট ছিল। হাসপাতাল অভিযোগ অস্বীকার করে।
- কুশ (বয়স এক বছর)- বাবা-মায়ের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। বাবা-মা বাড়িতে নিয়ে আসে, যেখানে মৃত্যু।
- বয়স্ক মহিলা – নোট গুনতে গিয়ে মৃত্যু। পুলিশ তার দেহের পাশে ২.৬৯ লক্ষ টাকার পুরনো নোট উদ্ধার করে।
- অজ্ঞাত- ডিমোনেটাইজেশনের ঘোষণা শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
- কামতা প্রসাদ (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষায় মারা গেলেন, অসুস্থ ছিলেন
- বাবু লাল (বয়স ৫০ বছর) – তিনদিন ধরে নোট বদলাতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
- মহম্মদ ইদ্রিস (বয়স ৪৫ বছর) – নোট বদলাতে যাওয়ার পথে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
- তীর্থরাই (বয়স ৪০ বছর) – ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিয়ে গিয়ে মৃত্যু।
- অজ্ঞাত – নোটবন্দীর ঘোষণা শুনে বুকে ব্যথা অনুভূত, ডাক্তার আসার আগেই মৃত্যু।
- অজ্ঞাত – ব্যাঙ্কের বাইরে পদদলিত হয়ে মৃত্যু৷
- শিশু (বয়স ৪ বছর) – অসুস্থ ছিল, চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। ব্যাঙ্কের লাইনের দাঁড়িয়ে বাবার হাতে মৃত্যু।
- সুরেশ (বয়স ১৮ বছর)- বিএসসির ছাত্র টাকা তুলতে না পারায় আত্মহত্যা।
- ইন্দ্রাসানি দেবী (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ বোধ করেন, মৃত্যু হয়। তার পুত্রবধূকে দাহ কাজের জন্য টাকা তুলতে ওই ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল।
- মূর্তি দেবী (বয়স ৮৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
- আকবর (বয়স ২৭ বছর) – ব্যাঙ্কে কাউন্টারে নোট বিনিময় বন্ধের ঘোষণা শুনে আত্মহত্যা।
- সালেকি (বয়স ৬৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে পড়ে গিয়ে হাসপাতালে মৃত্যু।
- শেশ কুমার (বয়স ৫০ বছর) – বুকে ব্যথা ছিল, কিন্তু তাদের কাছে টাকা ছিল না। ছেলে ও স্ত্রী ব্যাঙ্কে ছুটে যান। ৫ ঘণ্টা পর ফিরে দেখেন বাবা মারা গেছেন।
- রাকেশ চাঁদ (বয়স ৫৪ বছর) – প্রাক্তন সিআরপিএফ, চিকিৎসার জন্য কয়েকদিন ধরে টাকা তোলার চেষ্টা করছিলেন। অনেক চেষ্টার পরেও টাকা না মেলায় আত্মহত্যা করেন।
- শামীম (বয়স ৪৫ বছর)- অসুস্থ ছিলেন। স্ত্রী চার দিন চেষ্টা করেও ওষুধের জন্য টাকা তুলতে পারেননি।
- সতীশ কুমার (বয়স ৪৮ বছর) – ছেলের বিয়ের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে না পারায় আত্মহত্যা করেছিলেন।
তথ্য সূত্র: