দেশ বিভাগে ফিরে যান

ফিরে দেখা ২০১৬-র নোটবন্দী: মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের জেরেই এঁদের প্রাণ গিয়েছিল?

November 8, 2023 | 5 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দীর ঘোষণা করেন মোদী। অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। প্রাণ হারান বহু মানুষ। দেখে নেওয়া যাক মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে প্রাণ হারানো মানুষদের তালিকা:

দিল্লি: রাজধানীতে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল।

  • বীরেন্দ্র বসোয়া – ১২ লক্ষ টাকা বদলাতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।
  • সৌদ-উর-রহমান (বয়স ৪৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষারত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।
  • রিজওয়ানা (বয়স ২৪ বছর) – তিন দিন ধরে পুরনো নোট বদলাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
  • সতীশ (বয়স ৪৯ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষা করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন।

গুজরাত: মোদী-শাহের রাজ্যে পাঁচজনের প্রাণ গিয়েছিল।

  • পঞ্চাশ বছর বয়সী এক মহিলা, পরিবারের জন্য খাবার কিনতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
  • ৬৯ বছর বয়সী মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়।
  • বরকত শেখ – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মৃত্যু হয়েছিল।
  • অজ্ঞাত- ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গিয়েছিলেন।
  • প্রেম শঙ্কর প্রজাপতি (বয়স ৩৩ বছর) – (ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার) মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন।

বাংলা: ন’জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন।

  • ধরণীকান্ত ভৌমিক (বয়স ৫৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষারত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন।
  • মধু তিওয়ারি – এটিএম থেকে নতুন নোট ছাড়াই বাড়ি ফেরার কারণে স্বামীর হাতে খুন৷
  • শিবু নন্দী – শ্রমিকদের মজুরি দিতে না পারায় আত্মহত্যা করেছিলেন।
  • পুরনো নোট বদলাতে না পারায় এবং ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় সীতারাম আত্মহত্যা করেছিলেন।
  • রবীন মুখার্জি (বয়স ৭৩ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গিয়েছিলেন।
  • বিশ্বদেব নস্কর – পেনশন তোলার জন্য ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু।
  • কল্লোল রায় চৌধুরী-ব্যাঙ্কের লাইন দাঁড়িয়ে মৃত্যু।
  • অজ্ঞাত-ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু।
  • শ্রীমন্ত সরকার – নোট বদলাতে না পেরে আত্মহত্যা।

হরিয়ানা: মোট মৃত্যু তিন।

  • রাজেশ কুমার (বয়স ৫৬ বছর) – নিজের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে টানা তিন দিন কাজ করার জেরে মৃত্যু।
  • অজ্ঞাত- ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু এক মহিলার।
  • কৌশল্যা দেবী (বয়স ৮০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ বোধ করেছিলেন। হাসপাতালে মৃত্যু।

জম্মু ও কাশ্মীর: একজন মারা গিয়েছিলেন।

  • মুনির (বয়স ৮ বছর) – অসুস্থ ছিলেন, ক্যাব ড্রাইভার পুরনো নোট নিতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালে পৌঁছতে দেরী হয়েগিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঝাড়খণ্ড: মোট মৃতের সংখ্যা চার

  • লবকুশ- অর্থনৈতিক চাপে মৃত্যু।
  • লক্ষ্মী (লবকুশের দিদা)- নাতির মৃত্যুর খবর শুনে মৃত্যু।
  • রামচন্দ্র পাসওয়ান – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • বিন্দু কুমারী- কলেজ ছাত্রী, কলেজের ফি দিতে টাকা তুলতে না পেরে আত্মহত্যা।

কর্ণাটক: দুই মৃত্যু

  • গোপাল শেট্টি (বয়স ৯৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • অজ্ঞাত চল্লিশ বছরের মহিলা। আত্মহত্যা করেছিলেন কারণ ব্যাঙ্কে পনেরো হাজার টাকা বদলাতে গিয়ে তা চুরি হয়ে গিয়েছিল।

কেরালা: মোট চার জনের মৃত্যু।

  • কার্তিকেয়ান (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • কেকে উন্নি (বয়স ৪৫ বছর)- ব্যাঙ্কের তৃতীয় তল থেকে পিছলে পড়ে মৃত্যু।
  • ওমানাকুত্তান পিল্লাই (বয়স ৭৩ বছর) – সমবায় ব্যাঙ্কে জমা করা জীবনের সঞ্চয় তুলতে না পারার ভয়ে আত্মহত্যা।
  • চন্দ্রশেখরন (বয়স ৬৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।

মধ্যপ্রদেশ: মোট মৃত্যু সাত

  • বাবুলাল বাল্মিকি – ব্যাঙ্কে নোট বদলাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু।
  • সঞ্জয় প্রজাপত – ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি ফিরে মারা যান।
  • বিনয়কুমার পান্ডে – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • অজ্ঞাত-স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ক্যাশিয়ার, দীর্ঘক্ষণ কাজ করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
  • হালকে লোধী – রবি মরশুমে সময়মতো সার ও বীজ কেনার টাকা না থাকায় আত্মহত্যা।
  • লক্ষ্মণ মেহরা (বয়স ৪৫ বছর) – ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে না পারায় আত্মহত্যা।
  • কমল বনশকর (বয়স ৬৫ বছর) – চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু।

মহারাষ্ট্র: সাতজনের মৃত্যু।

  • তুকারাম তানপুরে (বয়স ৫৩ বছর) – ব্যাঙ্ক পিওন, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
  • দিগম্বর কাসবে (বয়স ৬০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • দীপক শাহ (বয়স ৬০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • নবজাতক শিশু- পুরনো নোট থাকায় হাসপাতাল অসুস্থ নবজাতককে ভর্তি করতে অস্বীকার করেছিল।
  • বিশ্ব ভারত (বয়স ৭২ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • আরভি রাজেশ (বয়স ৫১ বছর) – ব্যাঙ্ক কর্মচারী, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
  • প্রভাকর নারায়ণ রাউত (বয়স ৭২ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে পড়ে গিয়ে মৃত্যু।

অন্ধ্রপ্রদেশ: মোট ছ’টি মৃত্যু।

  • রত্ন পিল্লাই (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • বিজয়া লক্ষ্মী (বয়স ৭০ বছর) – পুরনো নোট পরিবর্তন করতে ব্যাঙ্কে প্রবেশ করার সময় মৃত্যু।
  • লক্ষ্মীনারায়ণ (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • কোমালি (বয়স ১৮ মাস) – বাবা-মায়ের কাছে ওষুধ কেনার টাকা ছিল না। পুরনো নোট নিতে অস্বীকৃতি করেছিল বেসরকারি হাসপাতাল।
  • এসকে শেরিফ (বয়স ৪৬ বছর) – এসবিআই ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার, কাজ করার সময় ভেঙে পড়েন এবং হাসপাতালে মারা যান৷
  • এসকে মৌলালি (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের সারিতে দাঁড়িয়ে পড়ে গিয়ে পরদিন হাসপাতালে মারা যান৷ পেনশন তোলার জন্য ১০ দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

বিহার: পাঁচ জন মারা গিয়েছিলেন।

  • সুরেন্দ্র শর্মা – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • রাম আওয়াধ শাহ (বয়স ৪৫ বছর) – মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যৌতুকের জন্য পুরনো নোট গ্রহণ করবে না, এই ভয়ে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
  • লালমুনি দেবী – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • মঞ্জু মানিহি (বয়স ২৩ বছর) – হাসপাতাল পুরনো নোট গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ডায়ালাইসিস না হওয়ায় মৃত্যু।
  • হায়দার আলী – হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। নোট বদলানোর জন্য বিভিন্ন শাখায় ঘুরছিলেন।

চণ্ডীগড়: একজনের মৃত্যু।

  • বিশন কৌর (বয়স ৬৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।

ছত্তিশগড়: একজনের মৃত্যু।

  • কৃষক (বয়স ৪৫ বছর)- তিনদিন চেষ্টা করেও পুরনো নোট বদলাতে না পারায় আত্মহত্যা৷

মণিপুর: একজনের মৃত্যু।

  • ইবোহানবী আকোলিয়াম (বয়স ৭০ বছর) – পোস্ট অফিসের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু। পেনশন তুলতে গিয়েছিলেন।

ওডিশা: একজনের মৃত্যু।

  • শিশু (বয়স ২ বছর) – অটোরিকসা চালকের পরিবারের সন্তানকে হাসপাতাল নিতে অস্বীকার করেছিল কারণ তাদের কাছে পুরনো নোট ছিল।

পাঞ্জাব: ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল।

  • সুখদেব সিং – হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু। মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকার কী হবে চিন্তায়।
  • বলবীর সিং (বয়স ৫২ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • ভগবান সিং (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • লাকি (বয়স ১৯ বছর)-আত্মহত্যা।
  • মালুক সিং (বয়স ৬৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • আশা রানী (বয়স ৪৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

রাজস্থান: পাঁচ জনের মৃত্যু।

  • নবজাতক শিশু-অ্যাম্বুলেন্স শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিল কারণ পুরনো নোট।
  • জগদীশ পানওয়ার (বয়স ৬২ বছর) – হৃদরোগে মৃত্যু।
  • রত্ন রাম (বয়স ৭৫ বছর) – টাকা তোলার পর বমি শুরু হয় এবং ব্যাঙ্কের বাইরে পড়ে মৃত্যু।
  • চিরানী লাল (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে যান। হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
  • মোডু সিং গুরিয়ার (বয়স ৪৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু।

তামিলনাড়ু: একজনের মৃত্যু

  • এম সুব্রামানিয়ান (বয়স ৭০ বছর)– ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।

তেলাঙ্গানা: চারজনের মৃত্যু।

  • শেখ বশীর – আত্মহত্যা।
  • বালিয়াহ (বয়স ৪৫ বছর)– জমির দাম 6-7 লক্ষ প্রতি একর থেকে ২-৩ লাখে নেমে আসায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা। তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন।
  • গালাইয়া (বালিয়াহের পিতা) জমির দাম নেমে যাওয়ার পর বিষ খেয়ে মৃত্যু।
  • কান্দুকুড়ি বিনোদা (বয়স ৫৫ বছর) – আত্মহত্যা।

উত্তরপ্রদেশ: মোট মৃতের সংখ্যা – ২৮

  • ইশতেয়াক আহমেদ (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • মহম্মদ শাহজাদ – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • সুরেশ সোনার- মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। নোট বদল করতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
  • খালিক হাসান (বয়স ৫৬ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • সুমিত (বয়স ১৭ বছর) – আত্মহত্যা।
  • আজিজ আনসারি (বয়স ৬০ বছর) – ব্যাঙ্কের মধ্যে নোট বদলাতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
  • রঘুনাথ ভর্মা (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • শাবানা (বয়স ২০ বছর)- আত্মহত্যা।
  • শিশু-হাসপাতাল শিশুকে ভর্তি করেনি। বাবা-মায়ের কাছে শুধু পুরনো নোট ছিল। হাসপাতাল অভিযোগ অস্বীকার করে।
  • কুশ (বয়স এক বছর)- বাবা-মায়ের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। বাবা-মা বাড়িতে নিয়ে আসে, যেখানে মৃত্যু।
  • বয়স্ক মহিলা – নোট গুনতে গিয়ে মৃত্যু। পুলিশ তার দেহের পাশে ২.৬৯ লক্ষ টাকার পুরনো নোট উদ্ধার করে।
  • অজ্ঞাত- ডিমোনেটাইজেশনের ঘোষণা শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
  • কামতা প্রসাদ (বয়স ৭৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষায় মারা গেলেন, অসুস্থ ছিলেন
  • বাবু লাল (বয়স ৫০ বছর) – তিনদিন ধরে নোট বদলাতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
  • মহম্মদ ইদ্রিস (বয়স ৪৫ বছর) – নোট বদলাতে যাওয়ার পথে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু।
  • তীর্থরাই (বয়স ৪০ বছর) – ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিয়ে গিয়ে মৃত্যু।
  • অজ্ঞাত – নোটবন্দীর ঘোষণা শুনে বুকে ব্যথা অনুভূত, ডাক্তার আসার আগেই মৃত্যু।
  • অজ্ঞাত – ব্যাঙ্কের বাইরে পদদলিত হয়ে মৃত্যু৷
  • শিশু (বয়স ৪ বছর) – অসুস্থ ছিল, চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। ব্যাঙ্কের লাইনের দাঁড়িয়ে বাবার হাতে মৃত্যু।
  • সুরেশ (বয়স ১৮ বছর)- বিএসসির ছাত্র টাকা তুলতে না পারায় আত্মহত্যা।
  • ইন্দ্রাসানি দেবী (বয়স ৭০ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ বোধ করেন, মৃত্যু হয়। তার পুত্রবধূকে দাহ কাজের জন্য টাকা তুলতে ওই ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল।
  • মূর্তি দেবী (বয়স ৮৫ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে মৃত্যু।
  • আকবর (বয়স ২৭ বছর) – ব্যাঙ্কে কাউন্টারে নোট বিনিময় বন্ধের ঘোষণা শুনে আত্মহত্যা।
  • সালেকি (বয়স ৬৮ বছর) – ব্যাঙ্কের লাইনে পড়ে গিয়ে হাসপাতালে মৃত্যু।
  • শেশ কুমার (বয়স ৫০ বছর) – বুকে ব্যথা ছিল, কিন্তু তাদের কাছে টাকা ছিল না। ছেলে ও স্ত্রী ব্যাঙ্কে ছুটে যান। ৫ ঘণ্টা পর ফিরে দেখেন বাবা মারা গেছেন।
  • রাকেশ চাঁদ (বয়স ৫৪ বছর) – প্রাক্তন সিআরপিএফ, চিকিৎসার জন্য কয়েকদিন ধরে টাকা তোলার চেষ্টা করছিলেন। অনেক চেষ্টার পরেও টাকা না মেলায় আত্মহত্যা করেন।
  • শামীম (বয়স ৪৫ বছর)- অসুস্থ ছিলেন। স্ত্রী চার দিন চেষ্টা করেও ওষুধের জন্য টাকা তুলতে পারেননি।
  • সতীশ কুমার (বয়স ৪৮ বছর) – ছেলের বিয়ের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে না পারায় আত্মহত্যা করেছিলেন।

তথ্য সূত্র:

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#notebandi, #Death, #Demonitization, #modi govt, #Demonetisation 2016, #indian

আরো দেখুন