৪০ দিনেই শৌচালয় নির্মাণ! বাংলাকে নাজেহাল করতে ফন্দি কেন্দ্রের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রয়েছে, আবাস যোজনা প্রকল্পে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু মেলেনি টাকা, এই পরিস্থিতিতে নয়া ফরমান এসেছে মোদী সরকারের তরফে। ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব জিতেন্দ্র শ্রীবাস্তব রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে শৌচালয় নির্মাণ প্রকল্পে নতুন উপভোক্তাদের যুক্ত করতে হবে। ২০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে শৌচালয় তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। চল্লিশ দিনের সময়সীমা দেওয়া হচ্ছে। ৫ জানুয়ারির মধ্যে মিশন ডাইরেক্টরকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া কোন কোন বাড়িতে এখনও শৌচালয় নেই, প্রথমে তা চিহ্নিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় নির্মিত বাড়িতেও শৌচালয় বাধ্যতামূলক। নবান্নর আমলারা বলছেন, রাজ্যকে আর্থিকভাবে কোণঠাসা করতেই নয়া কৌশল এঁটেছে মোদী সরকার। তাদের প্রশ্ন, আবাস প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। ওই টাকা সময় মতো ছাড়লে এতদিনে বাড়ি তৈরি হয়ে যেত। সেক্ষেত্রে বাড়িগুলির শৌচালয় নির্মাণে বড় অঙ্কের টাকা পেত রাজ্য। ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য সরকারও সব বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণ নিশ্চিত করতে পারত। অন্য কোনও রাজ্যে এমন অবস্থা নেই। গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাতেই এই দুই খাতে বরাদ্দ আটকে রয়েছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, যে বাড়িগুলি তৈরি হয়েছে, সেখানে শৌচালয় হবেই। টাকা না আসায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ তো শুরুই হয়নি। ৪০ দিনের মধ্যে সব বাড়িতে শৌচালয় তৈরির কাজ শেষ করার হুকুম দিয়ে দেওয়া হল। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে বাংলাকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতেই এসব বিজেপির চাল। তাঁর দাবি, রাজ্যের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে চার-পাঁচবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে ফাইল গিয়েছে। কোনও কারণ না দেখিয়েই তা আধিকারিকদের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।