পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

বারুইপুরের শিবানীপীঠের কালী নিমকাঠ দিয়ে তৈরি, পুজোতে আনা হয় কেক

November 9, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৯৬৬ সালে স্বপ্নাদেশে শুরু হয়েছিল কালী পুজো আজও সেই পুজো চলছে নিষ্ঠা ভরে। যা বারুইপুরের শিবানীপীঠের কালী বলে পরিচিত। এই প্রতিমা সম্পূর্ণ নিমকাঠ দিয়ে তৈরি।

বারুইপুরের ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্য ফাল্গুনী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ১৯৬৬ সালে তাঁর এক দিদি স্বপ্নাদেশ পান, বাড়ি থেকে দূরে বিশালাক্ষীতলা সংলগ্ন পঞ্চাননতলায় একটি পুকুরে শিবানী মায়ের ঘট আছে। পুকুরের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কড়ি ভাসবে। ওই কড়ির সামনে থাকবে ঘট। এই ঘটনার কথা তাঁদের জ্যাঠামশাই জানতে পারেন। এরপর তিনি ওই জায়গায় যান। পুকুরের কাছে ঘাসের মধ্যে কড়ি আটকে ছিল। তার সামনেই ছিল একটি ঘট। জ্যাঠামশাই ওই ঘট তুলে মন্দিরে নিয়ে আসেন। ভাটপাড়ার বাসিন্দা গুরুদেব শ্রীজীব ন্যায়তীর্থের পরামর্শে প্রথমে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু হয়। সেই সময় মূর্তি ছিল না। সেই ঘট আজও মায়ের সামনে রাখা রয়েছে। তিনি বলেন, এরপর দিদি ফের স্বপ্নাদেশ পান। সেখানে বলা হয়, নিমকাঠ দিয়ে মায়ের প্রতিমা তৈরি করতে। কিন্তু কাঠ দিয়ে মূর্তি বানানোর লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। একদিন বারুইপুরের নাজিরপুরের বাসিন্দা শ্রীমন্ত মণ্ডল নিজেই এসে প্রতিমা বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনিই তৈরি করেন মূর্তি।

চার ফুট উচ্চতার এই প্রতিমার প্রথম নাম ছিল মা ভবানী। পরবর্তীকালে ভট্টাচার্য পরিবারের পূর্বপুরুষ দুর্গাদাস ভট্টাচার্য স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে শিবানীর নামে মায়ের নাম রাখতে। সেই থেকেই মায়ের নাম শিবানীপীঠ।

কালীপুজোর দিন প্রথন দেবীকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বলে প্রতিবছর কালীপুজোর দিনটি মায়ের জন্মতিথি হিসেবেই পালিত হয়। সকাল ও রাতে দু’বার মায়ের পুজো হয়। কেকও আনা হয়। মাকে ভোগ নিবেদনের পাশাপাশি ভক্তদের খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। এই পুজো দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Baruipur, #Goddess Kali Maa, #kali puja, #Kali Puja 2023, #Shibani Pith

আরো দেখুন