এবার হাঁটার দিন শেষ! তীর্থযাত্রীরা কীভাবে পৌঁছবেন অমরনাথে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চন্দনবাড়ি ক্যাম্প, পিসু টপ, শেষনাগ, সঙ্গম হয়ে অমরনাথ; দিন পাঁচেকের হাঁটাপথ। রাস্তা একেবারে কম নয়! পহেলগাঁও থেকে ৪৫ কিলোমিটার! লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী এই দীর্ঘ পাহাড়ি পথ হেঁটেই পার করেন। এবার ঝক্কি-ঝামেলা শেষ হচ্ছে। পাহাড়ের রাস্তায় হাঁটার দিন শেষ। কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে গাড়িতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে অমরনাথ গুহার সন্নিকটে। চন্দনবাড়ির পাশাপাশি বালতাল রুটেও এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন এই কাজ করে দেখিয়েছে।
তবে এই কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও সরব। তাদের প্রশ্ন, অমরনাথ গুহাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে না তো? কাশ্মীরের প্রাক্তন শাসকদল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিরও একই বক্তব্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার দাবি, অবিলম্বে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ হওয়া দরকার। কারণ, এতে কাশ্মীরের পরিবেশ ধ্বংস হবে। উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের প্রসঙ্গও উঠে আসছে।
তীর্থযাত্রীদের ধকল লাঘব করতে কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি ১১০ কিমি দীর্ঘ অমরনাথ মার্গ নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। খরচ ধার্য হয়েছিল ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বিআরও রাস্তার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, লিডার ভ্যালির চন্দনবাড়ি থেকে নতুন রাস্তা দিয়ে অমরনাথের দিকে এগিয়ে চলেছে একটি ছোট ট্রাক ও ডাম্পার। বিআরও দাবি, গোটা প্রকল্পে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার দিকেও বাড়তি নজর রাখা হয়েছে।