খয়রাশোলে অনুপমের বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে ধুন্ধুমার, অস্বস্তিতে বিজেপি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খয়রাশোলে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। বুধবার কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ডের সাক্ষী রইল বীরভূম।
রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগায় কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। এবার খয়রাশোলে তাঁর সভার জন্য তৈরি অস্থায়ী মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বীরভূম সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহার অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি গণেশ ঘোষের দাবি, বিজেপির শত্রু বিজেপিই। বর্তমান জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মণ্টু ঘোষ স্বীকার করে নিয়েছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। বিজেপির একাংশই যে এই কাজ করেছে, তা জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালেই ফেসবুক লাইভে খয়রাশোলের অনুষ্ঠান পণ্ডের আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনুপম। সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ১৮ জন সিকিউরিটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি নিজের কেন্দ্রে জিততে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই খয়রাশোলে ট্রাক্টরের ডালাতে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চ ভেঙে দেয় বিজেপির একাংশ। এদিন খয়রাশোলে কোণঠাসা, পুরনো কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর ডাক দিয়েছিলেন অনুপম। তিনি বলেন, আমি সাতসকালে ফেসবুকে জানিয়েছিলাম, আমার উপর আক্রমণ হতে পারে। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটা সত্যি হল।
অনুপম বলেন, ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে জেলার কার্যকর্তারা রাজ্য অফিসে গিয়ে ঝামেলা করে এসেছেন। যাঁর বিরুদ্ধে ভূরিভূরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাঁকেই পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ধ্রুব সাহার লেঠেল বাহিনী আমার পৌঁছনোর আগেই মঞ্চ ভেঙে দেয়। আসলে ওঁরা চান না জেলার সিন্ডিকেট ফাঁস হয়ে যাক। পুরানো কর্মীদের লোকজনই বেশি। এর থেকেই প্রমাণ করে অমিতাভ চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার কোনও অযোগ্য লোককে জেলা সভাপতি পদে বসিয়ে রেখেছেন।
অন্যদিকে বার বার দলের রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করে আখেরে বিরোধীদের ‘সুবিধা’ করে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিজেপির সম্পাদক অনুপম হাজরা, তাঁর জন্য ক্রমাগত ‘অস্বস্তিতে’ পড়ছে দল। জানা গিয়েছে, অনুপমের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগ নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নালিশ করতে চলেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।