রক্তবীজ সিনেমা দেখলেন? পৌরাণিক কাহিনিটি জানেন কি?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কালী হলেন শক্তির আধার। অসুর দমনের জন্যেই তাঁর সৃষ্টি। রক্তবীজ ছিল এক শক্তিশালী দৈত্য। তার একফোঁটা রক্ত মাটিতে পড়লেই হাজার হাজার রক্তবীজ জন্ম নেবে এমন বরের অধিকারী হয়ে রক্তবীজ ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিল। রক্তবীজ দেবতাদের আতঙ্কিত করে তুলেছিল, জয় করে নিয়েছিল ত্রিলোক। দেবতাদের স্বর্গ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল সে। দেবতারা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শরণাপন্ন হলে, তিন দেবতা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে মহাকালী নামে এক শক্তিশালী নারী তৈরি করলেন। তিনিই দেবী কালী।
কালী রক্তবীজকে আক্রমণ করলেন। তার রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়তেই তৈরি হতে লাগলো অসংখ্য রক্তবীজ। তখন তিনি সৃষ্টি করলেন রক্তখাগী ডাকিনী-যোগিনী। তারা দানবের রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়ার আগেই তা পান করতে শুরু করলো। অবশেষে নিধন করা গেল রক্তবীজকে। মহাকালী ডাকিনী-যোগিনীর সাহায্যেই রক্তবীজকে বধ করেছিলেন।
পুরাণ অনুয়ায়ী, অন্যান্য অসুররা বধ হলেও যুদ্ধে রাক্ষসদের অন্যতম সেনাপতি রক্তবীজকে কিছুতেই বধ করা যাচ্ছিল না। ব্রহ্মার বরে রক্তবীজ বলিয়ান, তার রক্ত মাটিতে পড়লেই তা থেকে জন্ম নিচ্ছিল হাজার হাজার অসুর। সেই কারণে দেবী কালী রক্তবীজের রক্ত পান করা শুরু করেন। রক্তবীজের রক্ত যেন মাটিতে না-পরে, তা নিশ্চিত করতেই তিনি এমনটা করেছিলেন। রক্তবীজকে দেবী শূন্যে তুলে নেন, শরীর থেকে বের হওয়া সমস্ত রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই দেবী তা পান করতে আরম্ভ করেন। রক্তবীজকে হত্যা করে, তার দেহ দেবী কালী ছুড়ে ফেলে দেন।