চব্বিশে বাড়বে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার? কী বলছে ফিচ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অস্বাভাবিক দ্রব্য মূল্যের জেরে জ্বলছে আম জনতা। জিনিসপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতার নাগাল ছাড়িয়ে গিয়েছে। কাগজে কলমে মুদ্রাস্ফীতির হার হয়ত সামান্যই কমেছে। তবে তার বাস্তব প্রতিফলন নেই বললেই চলে। ফিচ রেটিংস এই আবহে আরও উদ্বেগের কথা শুনিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল ও হামাস সংঘর্ষের জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রকট হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক বৃদ্ধির হারের উপর যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে। মনে করা হচ্ছে, বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতোই ভারতেও মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেতে পারে।
ফিচের বক্তব্য, অপরিশোধিত তেলের দামের উর্ধ্বগতির জেরে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে মুদ্রাস্ফীতি অনুমানের তুলনায় বেশি চড়তে পারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিতে ২০২৫ সালও পেরিয়ে যেতে পারে। তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বাড়বে বলেই মত ফিচের।
মুদ্রাস্ফীতি হারের নিরিখে তুরস্কের পরই থাকবে ভারত এবং পোল্যান্ড। ফিচ জানিয়েছে, ভারতের মুদ্রাস্ফীতির তুলনামূলক বৃদ্ধি আরও বেশি হতে পারে। ফিচ আরও জানিয়েছে, জোগানের অপ্রতুলতার জেরে ২০২৪ সালে তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১২০ ডলারে পৌঁছতে পারে। ২০২৫ সালে তা ১০০ ডলারের আশপাশেই থাকবে। জিডিপি বৃদ্ধিতেও তার প্রভাব পড়বে। আগামী অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।