উৎসব মিটতেই শুরু হবে বিয়ের মরশুম! রেজিস্ট্রি নিয়ে কী নিয়ম আনছে রাজ্য?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উৎসবের মরশুমের শেষে শুরু বিয়ের মরশুম। শীত পড়লেই ধুম পড়ে বিয়ের, রেজিস্ট্রি বিয়ের ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালু করছে রাজ্য। এবার থেকে চার হাত এক করতে আবশ্যিক হবে বায়োমেট্রিক। রেজিস্ট্রি বিয়ের জন্য আবেদনের করতে হবু দম্পতির যেকোনও একজনের বায়োমেট্রিক লাগবে। রেজিস্ট্রির সময় দম্পতির পাশাপাশি তিনজন সাক্ষীরও বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে।
জানা যাচ্ছে, বিগত বছরগুলিতে বহু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পাত্র বা পাত্রীর ভুয়ো স্বাক্ষরের উপর ভিত্তি করে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে। ভুয়ো ছবি দেওয়ার পরেও ম্যারেজ সার্টিফিকেট পেয়ে গিয়েছেন অনেকে। তাই সমস্যা এড়াতেই বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিয়ের রেজিস্ট্রির বৈধতা প্রমাণের জন্য রেজিস্ট্রির সময় দেওয়া সই, ছবি এবং অন্যান্য তথ্যের উপরেই নির্ভর করতে হয়। রেজিস্ট্রি নিয়ে সমস্যা হলে বা কেউ তা চ্যালেঞ্জ করলে জমা দেওয়া ছবির ফরেন্সিক রিপোর্ট আনাতে হত। কিন্তু এবার থেকে দম্পতি ও সাক্ষীদের বায়োমেট্রিক থাকলে, কোনও রকম ঝামেলা পোহাতে হবে না।
রেজিস্ট্রার জেনারেল ম্যারেজ অফিসের নির্দেশে ১ নভেম্বর থেকে নয়া নিয়ম চালু হয়েছে। আগামীদিনে যেকোনও রেজিস্ট্রি বিয়ের ক্ষেত্রেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। বাংলার এক হাজার ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে বায়োমেট্রিক মেশিন রয়েছে। আবেদনের সময় আঙুলের ছাপ নিয়ে নিচ্ছেন ম্যারেজ অফিসাররা। সেই কারণে দু’জনের মধ্যে অন্তত একজনকে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। আধিকারিকরা মনে করছেন, এর ফলে অনিয়ম বা ভুয়ো তথ্য দেওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ের রেজিস্ট্রি হলে ৩০ দিন আগে সমস্ত তথ্য এবং নথি-সহ আবেদন করতে হয়। হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে রেজিস্ট্রি হলে, আবেদনের সাত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি হয়ে যায়। উভয় ক্ষেত্রেই বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত নিয়ম লাগু হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এবার থেকে আর ম্যারেজ সার্টিফিকেট বা বিয়ের শংসাপত্রে আঙুলের ছাপের কোনও ছবি থাকবে না। নির্দিষ্ট ম্যারেজ অফিসার ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি যাতে বায়োমেট্রিক মেশিন না ব্যবহার করতে পারে, তা দেখা হয়েছে। ম্যারেজ অফিসারের আঙুলের ছাপ ছাড়া মেশিন চালুই হবে না। একবার চালু হলে মেশিন মাত্র ৩০ মিনিট সক্রিয় থাকবে। পুনরায় মেশিন চালু করতে হলে, ম্যারেজ অফিসারকেই আঙুলের ছাপ দিতে হবে।