কলকাতা, শিলিগুড়িতে নয়া উদ্যোগ? পণ্য-পরিবহণে গতি আনতে কী পদক্ষেপ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পণ্য-পরিবহণে গতি আনতে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা, শিলিগুড়ি; উত্তর-দক্ষিণের দুই ব্যস্ত শহরে দিনের বেলায় পণ্যবোঝাই গাড়ি চলাচল মূলত বন্ধ রাখতে হয়। যানজট এড়াতে এমনটা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে দিনের বেলা শহরের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এবার পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় গতি আনতে চায় রাজ্য। কলকাতা ও শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রিং-রোড গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।
শহর সংলগ্ন জাতীয় সড়কগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে, বৃত্ত গড়বে রিং-রোড। শহরে না ঢুকেই, এক জাতীয় সড়ক থেকে অন্য জাতীয় সড়কে পৌঁছন যাবে। কলকাতা এবং শিলিগুড়ি রিং-রোড নিয়ে নবান্নে সম্প্রতি বৈঠক বসেছিল। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সেখানে হাজির ছিলেন। শিলিগুড়ির চারপাশে ১০, ৩১ এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ককে সংযুক্ত করে রিং-রোডের পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণে পাঁচ থেকে ছ’হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। রিং-রোড নির্মাণ হলে বাইরে থেকে আসা কোনও লরি বা ট্রাককে পাহাড়ে উঠতে গেলে বা উঠে অন্য কোথাও যেতে গেলে শিলিগুড়ি শহরে ঢোকার প্রয়োজন পড়বে না। শহরের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে মালবাহী গাড়িগুলির সময় নষ্টও হবে না। যানজট কম হবে।
কলকাতার রিং-রোডের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার। খরচ হতে পারে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। ১১৭, ৩৪, ২ এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ককে সংযুক্ত করবে রিং রোড। দুই রিং রোড নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ জমির প্রয়োজন। রাজ্য মনে করছে জমি নিয়ে সমস্যা হবে না।