AI-কে আবেগ, বিবেক ও মর্যাদাবোধ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলার ছেলে শুভার্থী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দাপট দেখা হচ্ছে, বিজ্ঞানীদের আলোচনার বিষয়ই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এবার এআইকে মানুষের মতো বিবেক ও মর্যাদাবোধ দেওয়ার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণা করছেন এক বঙ্গসন্তান। ব্রিটেনে সেই গবেষণা চালাচ্ছেন গড়িয়া নিবাসী এআই গবেষক শুভার্থী ভট্টাচার্য। ব্রিটেনের ব্রাউটন বিশ্ববিদ্যালয়ে, বয়স্কদের জীবনযাপনে ডিজিটাল হেলথ প্রযুক্তির গুরুত্ব নিয়ে গবেষণায় গবেষক দেখিয়েছেন, মানুষের মতোই এআইকে মর্যাদাবোধ, বিবেক, বিশ্বাস, সহানুভূতি ও ব্যক্তিগত পরিসর বা প্রাইভেসি দেওয়া যেতে পারে। ‘ইউকে ডিজিটাল লিডার্স উইক ২০২৩’, ‘গ্লোবাল এজিং কনফারেন্স ২০২৩’, ‘ইউরোপিয়ান অ্যাকাডেমি অব কেয়ারিং সায়েন্স’-এ ইতিমধ্যেই এই গবেষণা তুলে ধরা হয়েছে।
শুভার্থীর কথায়, বিবেক, মর্যাদাবোধ ইত্যাদি দেওয়া গেলেই, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই-র মানবিক প্রয়োগ হবে। তা না হলে সবটাই বড্ড যান্ত্রিক হয়ে উঠবে। এখন সবার হাতেই স্মার্ট ওয়াচ। প্রবীণরাও তা ব্যবহার করেন। প্রেশার, সুগার, হাঁটা, অক্সিজেনের মাত্রা, ব্যায়ামসহ বিভিন্ন তথ্য জানায় স্মার্ট ওয়াচ। এআই প্রযুক্তিনির্ভর ঘড়িকে আরও মানবিক করে বয়স্কদের ব্যবহারের উপযুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
ইউরোপিয়ান কমিশনের ইনোভেটডিগনিটি প্রকল্পে শুভার্থী কাজ করছেন। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প এটি। ব্রিটেন, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং গ্রিস; এই ছয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় অংশ নিয়েছে। বয়স্কদের উপযোগী বিভিন্ন এআই-নির্ভর স্বাস্থ্যযন্ত্র তৈরি করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।