উত্তরবঙ্গে রোদ ঝলমলে পরিস্কার আকাশ, সমতল থেকেও দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অভিমানে ঠিকরে পড়া সুর- দার্জিলিঙে গিয়েও দেখা মেলেনি কাঞ্চনজঙ্ঘার। হাওয়া খারাপ থাকলে বহু পর্যটককে এই তিক্ত অভিজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এখন উত্তরবঙ্গের আকাশ রোদ ঝলমলে।
স্পষ্ট আকাশে আড়াল থেকে যেন লুকোচুরি খেলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। শুধু দার্জিলিং নয়, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা পাওয়া যাচ্ছে সেই সৌন্দর্য্য। রায়গঞ্জের কিছু কিছু জায়গা থেকেও দেখা যাচ্ছে কাঞ্জনজঙ্ঘাকে। রোদ ঝলমলে আকাশ, সকাল ও রাতে শীতের আমেজ।
সিকিমের লোনাক হ্রদে বিস্ফোরণের জেরে এবারের দুর্গাপুজোয় পর্যটন মরশুমে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। সেই ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে মেঘমুক্ত নীল আকাশে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা উঁকি মারতে শুরু করায় নতুন করে দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
শীতের এই সময়টা উত্তরবঙ্গ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্পষ্ট দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী কাঞ্চনজঙ্ঘার যে ছবি প্রকাশিত হয় সেই ছবি এই সময়ই ক্যামেরাবন্দি হয়ে থাকে। আগামী ২৬ নভেম্বর রাসপূর্ণিমা। কোচবিহারে রাসউৎসব। হোটেল ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, রাস উৎসবে অংশ নিতে আসা পর্যটকরা আগে-পিছে দু’দিন সময় নিয়ে এদিকে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করে যাবেন।
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান গোপীনাথ রাহা বৃহস্পতিবার বলেন, আগামী ১০ দিন উত্তরবঙ্গে মেঘমুক্ত আকাশ থাকবে। সকাল থেকে হালকা রোদের সঙ্গে মনোরম আবহাওয়া অনুভূত হবে। সন্ধ্যা নামতেই হালকা শীতের আমেজ পাওয়া যাবে। তবে শুক্রবার ও শনিবার গৌরবঙ্গের তিন জেলা মালদহ ও দুই দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন গোপীনাথবাবু।