ঘুমর নৃত্য থেকে জগন্নাথের রথ, থিমে জমজমাট চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: থিমের লড়াইয়ে জমজমাট চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া বাবুরবাজার সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতির থিম ঘুমরের ঘটা। দেশীয় সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার বার্তা দিতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। বিশালাকার প্রবেশদ্বার, দুর্গের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। রাখা হয়েছে উট। পাশেই নৃত্যরত রাজস্থানের মহিলা ও বাদ্যকারদের স্ট্যাচু। জগদ্ধাত্রীর সাজ সাবেকি।
চন্দননগরের কানাইলাল পল্লি জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতির থিম দায়বদ্ধ। নগরায়ণের দাপটে পৃথিবীজুড়ে ইট-পাথরের রাজত্ব জাঁকিয়ে বসেছে। এখন প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। সবুজায়নের বার্তা দিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। মণ্ডপের সামনেই তৈরি হয়েছে বড় জলাশয়। তাতে ফুটে রয়েছে পদ্ম। জলে খেলা করছে হাঁস। প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে নারকেল, ভুট্টা, পেঁপে গাছের ছাল দিয়ে। এখানেও জগদ্ধাত্রীর সাজ সাবেকি।
জগন্নাথবাটি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির হীরক জয়ন্তী বর্ষের পুজোর থিম, ‘জগন্নাথ মহাপ্রভুর রথ’। রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা, নীচে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। দারোয়ান, সখী, ব্রাহ্মণের মূর্তিও রয়েছে। চালচিত্রে উঠে এসেছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার ছবি।
খলিসানি গড়ের ধার তেমাথা সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির থিম ‘শিবশক্তি’। মণ্ডপের উপরে মহাদেব ও ত্রিশূল থাকছে। হ্যাজাক ও রঙিন হ্যারিকেন বাতি দিয়ে নকশা তৈরি হয়েছে।