স্বয়ং জগদ্ধাত্রী চাইলেন আলতা পরতে! বন্দ্যোপাধ্যায়দের পুজোর কাহিনি জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাওড়া জেলার আমতা দু’নম্বর ব্লকের খালনার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে নানান কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। পুজোর বয়স ৩৫২ বছর। মনের ভুলে জগদ্ধাত্রীর এক পায়ে আলতা পরিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন মৃৎশিল্পী। ওই রাতেই তাঁর স্বপ্নে এসে মা ভুল ধরিয়ে দেন। মাঝরাতেই ছুটে এসে ঠাকুরের অন্য পায়ে আলতা পরিয়ে নিশ্চিন্ত হন মৃৎশিল্পী। আরেকবার বন্যার কারণে ওই অঞ্চলের সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পুজোর বলিদানের জন্য চারখানা চালকুমড়োর মধ্যে দুটো কম পড়েছিল। শোনা যায়, জগদ্ধাত্রী স্বয়ং এসে দু’টি চালকুমড়ো দিয়ে গিয়েছিলেন।
পুজোর সূচনা করেছিলেন সর্বেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাচীন রীতি মেনেই পুজো চলছে। জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে স্বপ্নে পাওয়া শীতলা দেবীরও পুজো হয়। প্রতিমার কাঠামো জন্মাষ্টমীর দিন এক মেটে হয়। কালীপুজোর দিন দো মেটে করা হয়। প্রতিমা ডাকের সাজ সাজানো হয়, মাটির কাপড়, মুকুট বা সমস্ত অলঙ্কার মাটির তৈরি।
একদিনেই ষষ্ঠী থেকে নবমীর পুজো হয়, দেড় মণ আতপ চালের তৈরি অন্নভোগ, খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, তরকারি, মাছ, চাটনি দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় শীতলা ভোগ হিসেবে লুচি, ক্ষীর. নাড়ু এবং ছানা দেওয়ার রীতি রয়েছে। পুজোয় চালকুমড়ো ও আখ বলি দেওয়া হয়। বলির পর ধুনো পোড়ানো হয়। দশমীর দিন পরিবারের মহিলারা দেবীকে বরণ করে সিঁদুর খেলেন, তারপর বাড়ির লাগোয়া পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।