‘বাংলা মানে ব্যবসা’, আজ থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ‘বাংলা মানে ব্যবসা’- আর এই ভাবনাকে সদূর প্রসারী করার পাশাপাশি বিনিয়োগ পাওয়ার লক্ষ্যে দু’দিনের এই বাণিজ্য সম্মেলন। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাগ করে নেবেন মুকেশ আম্বানি, নিরঞ্জন হিরানন্দনির মতো শিল্পপতিরা। আসছেন উইপ্রোর কর্ণধার আজিম প্রেমজির ছেলে রিশাদ প্রেমজি, টিভিএসের অন্যতম কর্তা আর দীনেশ। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন সজ্জন জিন্দাল, সঞ্জীব পুরী, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া প্রমুখ। সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন আদানি গোষ্ঠীর কর্তারাও।
এবছরের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্যের মূল ফোকাস যে এমএসএমই-র উপর তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে দেশ- বিদেশের শিল্পপতিদের পাশাপাশি রাজ্যের শিল্পপতিরাও এই সম্মেলনে যথেষ্ট গুরুত্ব পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের শীর্ষমহলের আশা, এবার সম্মেলন থেকে অন্তত চার লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব আসবে। বিগত বাণিজ্য সম্মেলনগুলিতে কখনও এত টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব আসেনি। ২০১৯ সালে শিল্প সম্মেলনে এসে বাংলায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুকেশ আম্বানি। এবারও তাঁর তরফে বড় ঘোষণা থাকবে বলে আশাবাদী শিল্পদপ্তর। গতবার মোট ১৩৭টি মউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) স্বাক্ষর হয়েছিল। সংখ্যাটা এবার অনেকটাই বাড়বে। এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে রাজ্য সরকারের ‘ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রি পার্টনার’ বণিকসভা সিআইআই। সোমবার তারা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ বছর শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রেই ২৬টি মউ স্বাক্ষর এবং সাড়ে সাত হাজার কোটির বিনিয়োগ প্রস্তাব আসার কথা। শিক্ষাক্ষেত্রে ৫৯টি মউ স্বাক্ষর এবং প্রায় ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাব আসতে চলেছে। নবান্ন সূত্রে খবর, পর্যটনে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব আসবে এবার। সেক্ষেত্রে প্রায় ৫৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা রাজ্যের। এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘সব মিলিয়ে অন্তত ৪ লক্ষ কোটির লগ্নি প্রস্তাব আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর ৩.৪২ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব এসেছিল বাণিজ্য সম্মেলন থেকে।’
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাণিজ্য সম্মেলনের বহরও অনেকটা বাড়তে চলেছে। এবার সম্মেলন শুধুমাত্র বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারেই আবদ্ধ থাকছে না। সায়েন্স সিটির কাছে বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণ এবং আলিপুরের ধন্যধান্য প্রেক্ষাগৃহে হবে একাধিক কমসূচি।