বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেই মোদী সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে দেশের একঝাঁক শিল্পপতি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চাঁদের হাট বসেছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেই মোদী সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ল্যান্ড ব্যাঙ্কের পাশাপাশি, বাংলার পক্ষ থেকে গড়ে তোলা হয়েছে চারটি বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক অঞ্চল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় স্থায়ী সরকার রয়েছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। শিল্প স্থাপনের অনুকুল পরিবেশও আছে। সেই কারণেই ১৭টি দেশ বাংলার সঙ্গে পার্টনারশিপে এগিয়ে এসেছে। যদি পারেন দেখুন, পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা না পেয়েও বাংলা কতটা উন্নতি করেছেন। মোদী সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য যে বাংলা পায় না, কৌশলে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম করেও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মমতা অভিযোগ করেন, অনেকে বলেন বাংলায় নাকি শুধুই হিংসা হয়। ব্যবসা হয় না। অনেকে বলেন বাংলা হিংসাপূর্ণ। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করেন অনেকে। হিংসা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সত্যিই এমন হলে বাংলায় কি এত কাজ হত? বাংলায় কোনও ভেদাভেদ নেই। বাংলা খুব মিষ্টি জায়গা। এখানকার ভাষা যেমন মিষ্টি, তেমনই এখানকার আতিথেয়তাও সুন্দর। দুর্গাপুজো বাংলায় ধুমধাম করে পালন করা হয়। তেমনভাবেই পালিত হয় বড়দিন।
অন্যদিকে মোদী সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশে এখন একটাই কর জিএসটি। রাজ্য কর আদায় করতে পারে না। শুধুমাত্র মোদী সরকার কর আদায় করে এবং রাজ্যকে ভাগ দেয়। এরপরই তিনি বলেন তিনি দুঃখিত, এসব বলা উচিত নয়। ক্ষমা চান। তারপর জানান, বাংলা নিজের ভাগ পাচ্ছে না। এমনকী গরিব শ্রমিক, যাঁরা একশোর দিনের প্রকল্পের কাজ করেছিল, তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলা টপ অফ দ্য টপ। বাংলার মানুষকে আরও অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান দেখতে চান তিনি। কর্মসংস্থান এখন মূল লক্ষ্য। বাংলায় এখন ৯০ লক্ষ এমএসএমই ইউনিট আছে যা গোটা দেশে সর্বাধিক। প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। স্থায়ী সরকার ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে বাংলায়। শিল্পস্থাপনের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে রাজ্যে।