ডবল ইঞ্জিন যোগীরাজ্যে প্রকাশ্যে ধর্ষিতাকে খুন ধর্ষণে অভিযুক্ত ও তার দলবল
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: এনসিআরবি রিপোর্টে বারবার উঠে এসেছে নারী নির্যাতনে শীর্ষে ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ। এবার প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষিতাকে তাড়া করে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ধর্ষণে অভিযুক্ত ও তার ভাই। মঙ্গলবার ভোরে উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বী জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। এহেন নৃশংসতায় গোটা গ্রাম আতঙ্কিত। পলাতক দুই অভিযুক্ত। যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব বিরোধীরা। ঘটনার পর পুলিশে খবর দেন পথচারিরা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলার করুণ অবস্থাটা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।
পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ভাই পবন নিষাদ এবং অশোক নিষাদের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ১৯ বছরের ওই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল পবন নিষাদের বিরুদ্ধে। নাবালিকাকে ধর্ষণের জেরে জেলবন্দি ছিল অভিযুক্ত পবন নিষাদ নামের যুবক। কিছুদিন আগেই জামিনে ছাড়া পায় সে। অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই মামলা তুলে নিতে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের উপর চাপ দিচ্ছিল পবন। নানাভাবে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারকে উত্তক্ত করত পবন ও তার সঙ্গীরা। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তরুণীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিল সে। যদিও নির্যাতিতা কোনও হুমকির কাছে মাথা নত করেননি, অভিযোগ তোলেননি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণে চরম পরিণতি নেমে এল তাঁর জীবনে।
দিন দু’য়েক আগে খুনের মামলায় জামিনে ছাড়া পান পবনের ভাই অশোক। পবনও জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। ছাড়া পেয়েই দুই ভাই ওই তরুণীর বাড়িতে যায়। রীতিমতো হুমকির সুরে জানানো হয়, ধর্ষণের মামলা না তুললে খুন করা হবে। তরুণী ও তাঁর পরিবার সাফ জানিয়ে দেয় কোনওভাবেই মামলা তুলবেন না তাঁরা। পুলিশ তরফে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার গ্রামের মাঠে গরু নিয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। বাড়িতে ফেরার সময় তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় পবন এবং অশোক। বিপদ বুঝে তরুণী পালানোর চেষ্টা করতেই তাঁকে তাড়া করে দুই ভাই। তারপর প্রকাশ্য রাস্তায় কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। রাস্তায় লোকজন থাকলেও তরুণীকে বাঁচানোর সাহস দেখায়নি কেউ। খুনের পর এলাকা ছাড়ে দুই অভিযুক্ত। পবন এবং অশোকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিক ব্রীজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, পুরনো শত্রুতার জেরে হত্যা করা হয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারা হয়েছে তরুণীকে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের নারী নিরাপত্তা।