কৌশলে ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ মানতে চাইছে না রেল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেলের টিকিট নিয়ে এই উৎসবের মরসুমে কার্যত হাহাকার চলছে। কনফার্ম টিকিট পেতে নাজেহাল অবস্থা। কনফার্ম টিকিট পাওয়া যেন এখন লটারি জেতার সমান! চাপ সামলাতে রেল চালু করে ‘সুবিধা ট্রেন’। সুবিধা ট্রেনের ভাড়া বন্দেভারত এক্সপ্রেসের চেয়ারকারের থেকেও বেশি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রেল মন্ত্রককে কার্যত কাঠগড়ায় তুলে সমাজমাধ্যমে মমতার অভিযোগ ছিল, ‘সুবিধা ট্রেন’-এর নামে যাত্রীদের পকেট কাটছে ভারতীয় রেল। এই ট্রেনগুলিতে উঠতে বাড়তি ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, রেল মন্ত্রক ‘সুবিধা ট্রেন’-এর নামে ঘুরপথে ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। যার খেসারত চোকাতে হচ্ছে দেশের কোটি কোটি রেল যাত্রীকে।
চাপে পড়ে পূর্ব রেলের তরফে সোমবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ওই অভিযোগকে সরাসরি নাকচ করা হয়েছে। রেলের দাবি, এই ট্রেনের টিকিট কাটলে কনফার্ম সিট একেবারে নিশ্চিত। উৎসবের দিনগুলিতে ট্রেনে যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে। সেই সময় কনফার্ম সিট পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। বহু যাত্রী আরএসি টিকিটে যাত্রায় বাধ্য হন। রেল যাত্রীদের এই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি দিতে এই ‘সুবিধা ট্রেন’ চালু করা হয়েছিল। যার মূল উদ্দেশ্যে, জরুরি পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে টিকিট কাটা যাত্রীরা যাতে ওই ট্রেনে নিশ্চিত আসন পান। বহু যাত্রী একেবারে শেষ লগ্নে ছুটির পরিকল্পনা করেন। অতিরিক্ত চাপের সময়ে নিশ্চিত টিকিট পেতে বাড়তি দাম মেটাতে হয় এমনটাই জানিয়েছে পূর্ব রেল।
চলতি মরশুমে পূর্ব রেল এক জোড়া সুবিধা ট্রেন চালিয়েছে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাত্রা করেছিল এই বিশেষ ট্রেন। দু’টি সবিধা ট্রেনে মোট ১ হাজার ৩৭৮ জন যাত্রী আপ-ডাউনে সফর করেছিলেন। যা থেকে টিকিট বাবদ রেলের আয় হয়েছিল ২২ লাখ ১৫ হাজার ৩৬৩ টাকা। অর্থাৎ গড়ে যাত্রী পিছু ‘সুবিধা ট্রেন’এর টিকিটের দাম ১৬০৭ টাকা।