মোদী সরকারের আশ্বাসই সার, চাল-ডাল-চিনির দাম বেড়েই চলেছে
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের বাজার দরে আগুন লেগেছে। সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত, গরিব মানুষের। দেশের সব বিরোধী দল ও আম জনতা এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে। গত কয়েক বছর ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, এই দাবিতে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। এদিকে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের দাবি লোকসভা নির্বাটনের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দাম কমাতে বদ্ধপরিকর তারা। কিন্তু খোদ কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা।
খাদ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরের মধ্যে চাল, ডাল, গম-আটা, চিনি, দুধ থেকে থেকে সব্জি সব কিছুরই দাম অনেকটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে বৃদ্ধির হার আড়াই থেকে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত। এই ৩৬৫ দিনে সবথেকে বেশি দাম বেড়েছে ছোলা, অড়হর, বিউলি ও মুগ ডালের—১১.৮৭ থেকে ৩৭.৪২ শতাংশ। চিনির দামও বেড়েছে ৬.৪৯ শতাংশ। প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যগুলির মধ্যে দাম কমার প্রবণতা একমাত্র দেখিয়েছে ভোজ্য তেল। সেটাও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার জের বলেই মনে করছে ব্যবসায়ী মহল। কারণ, দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদার অর্ধেকের বেশি পূরণ হয় বিদেশ থেকে আমদানি করে।
সম্প্রতি কৃষিপণ্য সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রক কমিটির বিশেষ বৈঠকের এজেন্ডা পেপারে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির খতিয়ান দিয়েছে খাদ্যমন্ত্রক। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে খুচরো বাজারে চালের দর বৃদ্ধির হার ১২.৫৩ শতাংশ। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর চালের গড় দাম ছিল ৩৮ টাকা ১৫ পয়সা। সেটা এখন বেড়ে হয়েছে ৪২ টাকা ৯৩ পয়সা। এই একই সময়ে আটা ও গমের খুচরো দামে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫.২৩ শতাংশ ও ২.৫৪ শতাংশ।
এই পর্বে সবথেকে বেশি দাম বেড়েছে অড়হর ডালের। এক বছর আগে তার দাম ছিল কেজিতে ১১৩ টাকা ২৭ পয়সা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৫৫ টাকা ৬৬ পয়সা। খাদ্যমন্ত্রকের দাবি, এই এক বছরে দাম কমেছে শুধু মসুর ডালের। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর তা ছিল কেজি প্রতি ৯৬ টাকা ৪৩ পয়সা। সেটা এখন ৯৪ টাকা ১৩ পয়সা। দুধেরও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় একই হারে। সব্জির মধ্যে পেঁয়াজের দাম এক বছরে বেড়েছে ৩১.৬৩ শতাংশ।