বহরমপুরের ভট্টাচার্যদের জগদ্ধাত্রী আরাধনা কীভাবে হয়ে উঠল চট্টোপাধ্যায়দের পুজো?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বহরমপুরের সৈদাবাদের শতাব্দী প্রাচীন ভট্টাচার্য পরিবারের হৈমন্তিকা আরাধনা এখন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। বিগত ২৬ বছর ধরে বহরমপুরের সৈদাবাদে পুজোর আয়োজন করে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার কুমারী পুজোর আয়োজন হয়। যা চাক্ষুষ করতে বহু মানুষ ভিড় জমান। ইলিশ ও রুই মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় জগদ্ধাত্রী দেবীকে। তন্ত্রমতে পুজো হয়, তবে পশুবলি চলে না।
সৈদাবাদের ললিত সেনের গলিতে পুজোর আয়োজন করেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা। একশো বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের হাতে। আলুগ্রামের মাশলা গ্রামে এই পুজো হত। কথিত আছে, বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করার পর কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় হররানি। বিয়ের সূত্রে তাঁর পদবি হয় চট্টোপাধ্যায়। বহরমপুরের সৈদাবাদে তিনিই বাবার শুরু করা পুজো ফের আরম্ভ করেন। হররানির পুত্র উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় পুজোর দায়িত্ব নেন। আজও সেই পুজো চলছে।
মঙ্গলবার নবমীর দিনে, সকালে সপ্তমীর পুজো, দুপুরে অষ্টমীর পুজোতে কুমারী পুজো করা হয় এবং সন্ধ্যায় হয়েছে নবমীর পুজো। পরিবারের দশ বছরের কন্যাকে কুমারী হিসেবে অপারাজিতা রূপে পুজো করা হয়। আলুগ্রামের মাশলা গ্রামে পুজোর সময় ছাগবলি দেওয়া হত। বহরমপুরে পুজো শুরুর সময় থেকে বলি দেওয়া হয় না। ভোগে মাছের পদ থাকে।