দশমীতে নয়, চন্দননগরে এই প্রথম একাদশীতে জগদ্ধাত্রীর শোভাযাত্রা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এ বার চন্দননগরে দশমী নয়, জগদ্ধাত্রীর শোভাযাত্রা এবং বিসর্জন হচ্ছে একাদশীতে। রীতি অনুযায়ী চন্দননগরে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো মণ্ডপে পূজিত হন মা। দশমীর রাতে হয় শোভাযাত্রা। তারপর করা হয় বিসর্জন। কিন্তু এবারে বিসর্জন করা হবে একাদশীতে।
কেন?
এ বার ষষ্ঠী ও সপ্তমী তিথি একই দিনে পড়েছিল। তাই পুজো এক দিন কমে যাওয়ায় পুজোকর্তারা চান প্রতি বছরের মতো এবছরও চার দিন ধরে বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে ঠাকুর দেখার আনন্দ উপভোগ করুক সবাই। তাই এবারে একাদশীতে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জনের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
প্রথা ভেঙে একাদশীর সন্ধ্যায় দেবী বরণের পর শুরু হবে আলোক শোভাযাত্রা। তাই বাইরে থেকে দর্শনার্থীরা স্রোতের মতো ঢুকছেন গঙ্গাপাড়ের শহরে। সন্ধ্যার পর আলোকসজ্জা উপভোগ করতে জনজোয়ারে ভাসছে একের পর এক মণ্ডপ। চন্দননগরের পাশপাশি ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ডু ও রিষড়ার বিভিন্ন মণ্ডপেও ভিড় জমতে শুরু করে। কোথাও কোথাও রাস্তার ধারে আলোর জিরাফ, খোরগোশের লম্ফঝম্ফ, সব মিলিয়ে আলোর ঝর্ণাধারায় ভেসে চলেছে গোটা শহর। সন্ধ্যায় আলো ও থিমের মায়াবি সংমিশ্রণ, লেজার শো দেখতে উপচে পড়েছিল ভিড়। রাত বাড়ার সাথে সাথে বেড়েই চলছে জনস্রোত। এই পুজোর উদ্যোক্তারা তাই এখন আলোক শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। রাস্তার ধারে, পেট্রল পাম্পে বড় বড় লরি এখন থেকেই আলো দিয়ে সাজানো চলছে।