চন্দননগরে দশমীতে জনপ্লাবন, আজ শোভাযাত্রায় থিমের লড়াই
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফরাসডাঙায় দশমীতে জনপ্লাবন, রীতিমতো তিল ধারণের জায়গা ছিল না আলোর শহরে। প্রতিমা দর্শনে নেমে ছিল ঢল। আজ, বৃহস্পতিবার শোভাযাত্রার মাধ্যমে শেষ হবে এবারের জগদ্ধাত্রী পুজো। প্রথা ভেঙে এই প্রথম দশমীর বদলে একাদশীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রা হবে চন্দননগরে। আলোক শোভাযাত্রায় আজ অংশ নেবে সমস্ত বারোয়ারি পুজো কমিটি। তবে বিভিন্ন বাড়ির প্রতিমা দশমীতেই বিসর্জন হয়েছে।
আলোক শোভাযাত্রায় চলবে থিমের যুদ্ধ। পুজোর উদ্যোক্তারা মনে করছেন, আজ সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। থিম-যুদ্ধের প্রস্তুতি সারা হচ্ছে, জলই জীবন, বন্ধুত্বের আহ্বান, পশু-পাখি, পৌরাণিক কাহিনি, নানান থিম আলোয় সেজে উঠছে শোভাযাত্রার গাড়ি। টেক্কা দিতে কমতি রাখছেন না আলোক শিল্পীরা। রাতভর শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলেছে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে তুঙ্গে ব্যস্ততা। আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শোভাযাত্রা শুরু হবে।
উত্তরাঞ্চল সর্বজনীনের থিম ইন্ডিয়ান আর্মি, সৈনিকদের লড়াই ধরা দেবে আলোর সাজে। বোড় তালডাঙার আলোর থিম ‘বন্ধু’, কুণ্ডুঘাট দালানের থিম ‘ফল’। বোড় কালীতলার থিম ব্রাজিলের ‘সাম্বা’। পঞ্চাননতলার আলোতে দেখা যাবে ‘মাইথোলজিক্যাল ওয়ার্ল্ড’। খলিসানি সর্বজনীনের শোভাযাত্রার থিম ‘পুতুলখেলা’। বোড় চাঁপাতলার আলোর থিমে ‘ভারতীয়, পশ্চিমি ও আরবিয়ান গানের সুর’ ফুটে উঠবে। চারমন্দিরতলা সর্বজনীনের থিম ‘স্বপ্নের ঘর’। মধ্যাঞ্চল সর্বজনীনের থিমে ফুটে উঠবে ‘মনে রাখা’র বার্তা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা জানাচ্ছেন, শোভাযাত্রার ভিড় সামলানোই বড় চ্যালেঞ্জ। সব রকমভাবে প্রস্তুত তাঁরা।