মোদীর ভরসা ‘বাংলা মডেল’, কন্যাশ্রী অনুকরণে কী প্রকল্প আনছে BJP সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোট পেরোতে বাংলা মডেল-কেই হাতিয়ার করছেন মোদী ও তাঁর দল? বাংলা তথা বিরোধী রাজ্যের জনমুখী সামাজিক প্রকল্পগুলিকে বরাবর খোঁচা দিয়ে এসেছেন মোদী। ‘রেউড়ি’ সংস্কৃতির তিনি ঘোর বিরোধী। প্রকাশ্য সভা-সমাবেশে ‘রেউড়ি’ নিন্দা করেন তাঁর দলের নেতা, মন্ত্রীরা। বিজেপির মতে, সামাজিক প্রকল্প বা প্রতিশ্রুতি হল আমজনতার সমর্থন পাওয়ার কৌশল। এতে দেশের উন্নয়ন হয় না! কিন্তু পাঁচ রাজ্যের ভোটকে কেন্দ্র করে বিজেপি এখন সেই পথেই হাঁটছে।
পাঁচ রাজ্যের ভোট ঘোষণা আগে থেকেই প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন মোদী, ‘উপহারের’ ডালি হাজির খোদ মোদী সরকারই। সে’ভাবেই প্রচার চলছে। ইস্তাহারেও সেই ছাপ স্পষ্ট। তালিকায় নয়া সংযোজন হতে চলেছে বাংলার কন্যাশ্রীর মতোই দেশের মেয়েদের জন্য প্রকল্প। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির শীর্ষ স্তরে এই প্রস্তাব নিয়ে চর্চা চলছে। অর্থমন্ত্রক বা নীতি আয়োগ এখনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি, তবে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টা ফেলে রাখতে চাইছে না। বিজেপি বুঝেছে, রাজ্য সরকারগুলির সফল প্রকল্পই এবারে হয়ত তাদের ভোট বৈতরণী পার করাতে পারবে। কন্যাশ্রী বা লাডলি লক্ষ্মী প্রকল্পকে। প্রথমটি বাংলায়, আর দ্বিতীয়টি জনপ্রিয় মধ্যপ্রদেশ, গোয়ায়। সেটিও লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুকরণ। বিজেপি ও মোদী সরকারের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে, কন্যাসন্তানদের শিক্ষার খরচ বহন করবে কেন্দ্রই। সেই মতোই আনা হবে প্রকল্প।
মহিলাদের তুষ্ট করতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বত্রই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, নারীশক্তিকে অর্থনৈতিকভাবে শক্ত করাই লক্ষ্য। মহিুলা সংরক্ষণ আইনের ঢালাও প্রচার করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রকল্পকেই ভরসা করে এগোতে চাইছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটের আগেই কৃষকদের ভাতা বাড়ানো হবে। কন্যা সন্তানদের যুক্ত করা হবে জনমুখী প্রকল্পে। বিজেপির অন্দরে শোনা যাচ্ছে, ব্যয় যাই হোক না কেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতেই হবে। লোকসভা ভোটের আগেই হয়ত প্রকল্প ঘোষণা করা হবে। যাতে ভোটে সরাসরি প্রভাব পড়ে, এমনই মনে করছে বিজেপি শিবির। নতুবা, ইস্তাহারে ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোট পেরোনো হবে।