রাজ্যের অভিযোগেই সিলমোহর? ১০০ দিনের টাকার দাবিতে সওয়াল খোদ গেরুয়া MLA’দের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্য বারবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে সওয়াল করে এসেছে। এবার বাংলার শাসক দলের সুর বিজেপি বিধায়কদের কণ্ঠে। শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে একশো দিনে প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতে সরব হলেন দলের বিধায়করা। তাঁদের দাবি, ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে বাংলার প্রান্তিক মানুষজন সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন। দ্রুত মোদী সরকারকে বাংলার প্রাপ্য টাকা দেওয়ার কথা বলুন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হোক। সুকান্তের আশ্বাস, তিনি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন।
রাজ্যের শাসক দল বারবার অভিযোগ করে এসেছে, ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক রাজ্য-কেন্দ্র যৌথ প্রকল্পের কাজ করার পরেও বাংলার কৃষক, শ্রমিকরা প্রাপ্য টাকা পাননি। বাংলার শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বঞ্চিতরা রাজধানীর কৃষি ভবনে গিয়ে প্রাপ্য বকেয়ার দাবিতে ধরনা দিয়েছেন। বারবার কেন্দ্র সরকারের কাছে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লি যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এবার বকেয়ার দাবি তুললেন খোদ বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে জানান, ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া যোগ্যদের দ্রুত বকেয়া দেওয়া হোক। কেন্দ্রকে টাকা দিতে বলার জন্য এদিন বিধানসভায় সুকান্তর কাছে দাবি জানান বিজেপি বিধায়করা। প্রসঙ্গত, একুশের হারের পরেই বাংলার গেরুয়া নেতারা কার্যত রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধের ডাক দেন। প্রকাশ্যে তাঁরা বলতে থাকেন, কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাংলার পাওনা টাকা আটকানো শুরু হয় মোদী সরকারের তরফে। শুভেন্দু অধিকারীদের নেওয়া এই কৌশলের বিরোধিতা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ, এবার সেই দাবিই শোনা গেল বিজেপি বিধায়কদের গলায়।