সংসদ পোর্টাল বা অ্যাপের অ্যাকসেসে রাশ টানতে নয়া নির্দেশিকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাংসদদের সহায়ক বা আপ্ত সহায়কদের ডিজিটাল সংসদ পোর্টালে বা অ্যাপের অ্যাকসেসে রাশ টানা হচ্ছে। ফলে সাংসদদের সহায়ক বা আপ্ত সহায়করা ওই অ্যাপ বা পোর্টালে আগের মতো অনেক কিছুই করতে পারবেন না। ফলে এবার থেকে সাংসদদের প্রশ্নের জন্য নোটিস ফাইল শুধু সাংসদরাই করতে পারবেন, তাঁদের আপ্ত সহায়ক বা সহায়করা নন। সংসাদদের সফরের বিলও তাঁদেরই ও পোর্টালে আপলোড করতে হবে।
গত ১০ নভেম্বরের নির্দেশিকায় এ’কথাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদদের প্রশ্ন যতক্ষণ না জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে বা তার উত্তর দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ তা গোপনীয়। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার আগে তা প্রকাশ করা যায় না। আর এই উত্তর মেম্বার্স পোর্টালে লগ-ইন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সুরক্ষিত। সেজন্য শুধুমাত্র সাংসদরাই তা ব্যবহার করতে পারবেন। সেজন্য সাংসদদের এর গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার আগে তার বিষয়বস্তু অন্য কাউকে না দিতেও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ওই ব্যাখ্যা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে মহুয়াকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর কটাক্ষ, এই নিয়ম সম্পর্কে বোধহয় অভিযুক্ত সাংসদকে হিরানন্দানির মতো আপ্ত সহায়করা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেননি।
সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সংসদের পোর্টালের পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে। অভিযোগ, সংসদে প্রশ্ন তোলার জন্য মহুয়ার হয়ে তিনি পোর্টালে প্রশ্ন আপলোড করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার অভিযোগ ঘিরে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় হতেই এবার সংসদের ডিজিটাল সাংসদ পোর্টালের কিছু নিয়মে বদল আনা হল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চ এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, লোকসভার ৭৫ শতাংশ সাংসদের অন্ততপক্ষে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি রয়েছে। ১০ শতাংশের রয়েছে মাধ্যমিকের ডিগ্রি। সেই জায়গা থেকে পোর্টালে আপ্ত সহায়কদের কিছু করার ক্ষমতা রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বহু সাংসদ অস্বস্তিতে পড়েন কি না, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।