রাসের আগে চার মাস পর শয়ন থেকে উঠলেন কোচবিহারের ছোট মদনমোহন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চার মাস শয়নে থাকার পর শুক্রবার উত্থান একাদশীতে ১০৮ ঘটি জল ও দুধ, ঘি, দধি দিয়ে স্নান করানো হল ছোট মদনমোহনকে। দু’দিন বাদেই কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। তার আগে শুক্রবার উত্থান একাদশী উপলক্ষ্যে দীর্ঘ ১১৮ দিন পর কোচবিহারের ছোট মদনমোহন ঘুম থেকে উঠলেন।
মদনমোহন মন্দিরের রাস জগৎ বিখ্যাত। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ এই মদনমোহনের পুজো দেখতে হাজির হন। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে শুরু রাসের প্রস্তুতি। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, উলটো রথের পর যখন বড় মদনমোহন মাসির বাড়ি থেকে মদনমোহন বাড়িতে ফিরে আসে সেসময় শয়নে যান ছোট মদনমোহন। চারমাস ঘুমিয়ে থাকার পর এদিন ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। ঘুম থেকে ওঠার পর চলে স্নানের পর্ব, তারপর অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ পুজো ।
মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, প্রথা অনুসারে রাসযাত্রার সূচনা হয়ে গেল। কারণ উত্থান একাদশী উপলক্ষ্যে এদিন ছোট মদনমোহন শয়ান থেকে উঠলেন। তিনদিন তিনি মন্দিরের বারান্দায় থাকবেন। হাওয়া খাবেন। ছোট মদনমোহন এই তিনদিন জাগরণে থাকবেন। তিনি রাস করবেন। এই উপলক্ষ্যে বড় মদনমোহন, রাজমাতা, ডাঙ্গরআই মন্দিরের বিগ্রহরাও বারান্দায় অধিষ্ঠান করবেন। একেই বারাম উৎসব বলা হয়। এরপর রাসের সময় ছোট মদনমোহন মন্দিরের ভিতরে চলে যাবেন। বড় মদনমোহন বাইরে থাকবেন। রাজমাতা ও ডাঙ্গরআই মন্দিরের বিগ্রহরা মন্দিরের অন্যান্য স্থানে অধিষ্ঠান করবেন।
কোচবিহারে রাসের পুজোয় দরকারী রাস চক্র। রাস যাত্রার আগেই মদনমোহন মন্দিরে আসে রাসচক্র। এই রাসচক্র বংশপরম্পরায় তৈরি করে এক মুসলিম পরিবার। এবারও রাসচক্র তৈরি করছেন সেই পরিবারের এক সদস্য, নাম আমিনুর হোসেন। উপোস করে নিরামিষ খেয়ে রাস বানান আমিনুর।