শীতকালীন অধিবেশনে বকেয়া বিলগুলি পাশ করাতে মরিয়া মোদী সরকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর থেকে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। শীতকালীন অধিবেশনে একের পর এক বকেয়া বিল পাশ করাতে সংসদীয় মন্ত্রীকে সক্রিয় হতে বলেছে মোদী সরকার। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হতে পারছে না বিজেপি, তাই তারা কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বকেয়া বিলগুলি পাশ করিয়ে নিতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রধানত আইন সংক্রান্ত তিনটি বিল। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট বাতিল করে তিনটি নয়া বিল আনা হচ্ছে। লোকসভায় পেশ করার পর সেগুলি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়। গত একমাস স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ওই বিল নিয়ে বিরোধী বনাম সরকারপক্ষের টানাপোড়েন হয়। বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও সরকারপক্ষের সদস্যদের গরিষ্ঠতায় ওই বিল অসংশোধিত অবস্থায় গ্রহণ করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে সংসদে। এই বিল দ্রুত পাশ করানোর জন্য হুইপ জারি তো করা হবেই, তার আগেই বিজেপি এমপিদের সংসীদয়মন্ত্রী প্রহ্রাদ যোশি জানিয়ে দিয়েছেন, শীতকালীন অধিবেশনে প্রতিদিনই সংসদে হাজির থাকতে হবে। কোনও কম গুরুত্বপূর্ণ বিলের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আগামী দুই অধিবেশনে এমপিদের পারফরম্যান্স দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিল এই শীতকালীন অধিবেশনেই পাশ করাতে মরিয়া মোদী সরকার। এই বিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গেও মোদি সরকারের মতের মিল হয়নি। লোকসভা ভোটের আগেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সরকারের অধিকার কায়েম করার কাজটি করে ফেলতে চায় কেন্দ্র। এর বাইরেও আরও ১৭টি বিল আছে যেগুলি পাশ করানোর চেষ্টা হবে। কারণ একটাই। সংসীদয় রীতি অনুযায়ী কোনও বিল লোকসভায় পেশ করা থাকলে সেটি যদি ওই লোকসভার মেয়াদকালে পাশ করানো না হয়, তাহলে সেই বিল বাতিল হয়ে যাবে। রাজ্যসভায় কোনও বিল বাতিল হয় না।
উল্লেখ্য আগামী ৩ ডিসেম্বর ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম বিধানসভার ভোট গণনা রয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর দিনই বসছে সংসদে অধিবেশন। সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি বসে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এবছর ব্যতিক্রম ঘটেছে। কারণ, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে এর মাঝে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত দলের নেতা-নেত্রীরাও। ভোট প্রচারে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। সেই কারণে পাঁচ রাজ্যের ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরে অধিবেশন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।