চোদ্দ দিন পার! সিল্কিয়ারার উদ্ধারকাজ অথৈ জলে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৪ দিন অতিক্রান্ত, এখনও উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গেই আটকে রয়েছে ৪১ জন শ্রমিক। রয়েছে তিন বঙ্গসন্তানও। কবে তাঁদের উদ্ধার করা হবে? মিলছে না উত্তর। বারবার ছেদ পড়েছে উদ্ধারের কাজে। এখনও সুড়ঙ্গের ভগ্নস্তূপ ভেদ করে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোই সম্ভব হয়নি। শনিবার মার্কিন অগার মেশিনের সামনের অংশ ভেঙে গিয়েছে। বিশ বাঁও জলে উদ্ধারকাজ। সিল্কয়ারার দিক থেকে ৬২ মিটার পৌঁছতে হত, কিন্তু ৪৭ মিটার পৌঁছানো গিয়েছে। মেশিন ভেঙে যাওয়ায় শেষ ১৫ মিটার দূরত্ব পেরোতে ভরসা সাধারণ শ্রমিকরা। অন্যদিকে মার্কিন বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বড়দিন অবধি সময় ঠেলে দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ কবে শেষ হবে এখনই বলা যাচ্ছে না। আগামী বড়দিনের মধ্যেই আটকে থাকা শ্রমিকরা বাড়ি পৌঁছে যাবেন, এব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
এখন ছ’ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনের মাধ্যমে খাবার, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। তিন ফুট ব্যাসের পাইপ ঢোকানোর কাজ চলছে। ড্রিল মেশিন, ছেনি, হাতুড়ি দিয়ে ভগ্নস্তূপ কেটে শেষ ১৫ মিটার পাইপ প্রবেশ করানো হবে। সুড়ঙ্গের অন্য প্রান্ত অর্থাৎ বারকোটের দিক দিয়েও পাইপ ঢোকার কাজ শুরু হয়েছে। সে’পথে ৪৮০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। এখন মাত্র ১০ মিটার খোঁড়া গিয়েছে। সুড়ঙ্গের উপরে পাহাড় ভেঙেও প্রবেশের পরিকল্পনা নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, সে’জন্য কাটতে হবে ৮৬ মিটার রাস্তা।
শ্রমিকদের জীবন কেন অনিশ্চিয়তার মুখে ঠেলে দেওয়া হল? দুর্ঘটনার তদন্তের দাবি করেছে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি ‘চার ধাম পরিযোজনা’য় নজরদারির জন্য গঠিত কমিটি। জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকরা এখনও মানসিকভাবে স্থিতিশীল। তারা সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তাঁদের আত্মীয়দের উদ্বেগ বাড়ছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ল্যান্ডলাইনের ওপর ভরসা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই BSNL টেলিফোন বসিয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকরা যাতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, তাঁদের হাতে একটি হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে।
বিএসএনএস-এর ডিজিএম রাকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, তাঁরা একটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছেন। খাবার পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত পাইপের মাধ্যমে তাঁদের লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ফোন দেওয়া হবে। ফোনে ইনকামিং ও আউটগোয়িং সুবিধে থাকবে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন শ্রমিকরা। শ্রমিক ও তাঁদের আত্নীয়দের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ৬ ইঞ্চি ব্যসের পাইপ দিয়ে একটি এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা পাঠান হয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমেই উদ্ধারকারী এবং আত্মীয়দের সঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকরা যোগাযোগ করছেন।