আজ ঘুরবে রাসচক্র! আগামীকাল থেকে শুরু কোচবিহারের রাসমেলা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নবদ্বীপ থেকে শান্তিপুর, খড়দহ থেকে পানিহাটি, রাস উপলক্ষ্যে বাংলাজুড়ে সাজো সাজো রব। কোচবিহারে শুরু হতে চলেছে ২০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন রাসমেলা। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে কোচবিহারের রাসমেলা। ২৬ নভেম্বর মদনমোহন মন্দিরে রাসচক্র ঘুরিয়ে শুরু হবে উৎসব, কোচবিহারের রাসমেলার প্রধান আকর্ষণ রাসচক্র। রাসচক্র হল সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রতীক। রাস উপলক্ষ্যে প্রতি বছর রাসচক্র তৈরি করা হয়। মুসলমান পরিবার রাসচক্র নির্মাণের দায়িত্বে থাকে। রাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের সময় থেকে রাসচক্র ঘোরানোর নিয়ম চলে আসছে, মুসলমান পরিবারই তা তৈরি করে। বর্তমানে রাসচক্র তৈরি করে আলতাফ মিয়ার পরিবার। রাসচক্রে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি থাকে।
১৮৯০ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের আমলে মদনমোহন মন্দির স্থাপিত হয়। তখন থেকেই রাসমেলা হয়। প্রতি বছর হাজার, হাজার মানুষ ভিড় করেন রাসমেলায়। রাসমেলাকে এ বছর পর্যটন মানচিত্রে স্থান দিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাসমেলা উপলক্ষ্যে মানুষজন কোচবিহার আসতেন। বিশেষ ট্রেনও চলত। আজও মেলায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আসেন।
ওপার বাংলার জামদানি শাড়ি থেকে পদ্মার ইলিশ কোচবিহারের রাসমেলায় কী না মেলে! ভারতেরও নানান প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় আসেন। কোটি কোটি টাকার কেনাবেচা হয় কোচবিহারের রাসমেলায়। এ বছর নেপাল, ভুটানের ব্যবসায়ীরাও যোগদান করতে চলেছে কোচবিহারের রাসমেলায়। ২৭ নভেম্বর শুরু হয়ে ২০ দিন ধরে চলবে রাসমেলা। ২০০ বছরের প্রাচীন রাসমেলা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করার কথাও ভাবা হচ্ছে।