দেশ-বিদেশে চাহিদা বাড়ছে বাংলার মেয়েদের হাতে গড়া সামগ্রীর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি জিনিসপত্র। বাড়ছে চাহিদা, রাজ্যের সীমা পেরিয়ে, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহিলাদের তৈরি পণ্যের খ্যাতি। সরকারি হিসেব থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে মোট আট লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছিল। ২০২৩ সালে বিক্রির অঙ্কটা ছ’কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই বিক্রির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ‘সৃষ্টিশ্রী’ মলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত দপ্তর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি করা বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির জন্যেই বিপণন কেন্দ্রগুলো চালু করেছিল। ভিন দেশিদের মধ্যে পণ্য কেনার আগ্রহ বেড়েছে। কাঁথাস্টিচ, ডোকরার সামগ্রী, সাবাই ঘাসের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিস, বাঁশের তৈরি পণ্য ইত্যাদির চাহিদা বেশি বলেই শোনা যাচ্ছে। অনলাইন কেনাকাটার মাধ্যমে রাজ্যের সামগ্রীগুলিকে বিদেশের বাজারে সহজলভ্য করে তুলতে নয়া পোর্টাল চালু করেছে রাজ্য। আগামীতে বাংলায় তৈরি জিনিসপত্র আরও ভাল দাম এবং বাজার পাবে বলেই আশা সরকারি কর্তাদের।
নানান মেলা, আন্তর্জাতিক স্তরের শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনের দৌলতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি নানান সামগ্রীর প্রতি বিদেশি অতিথিদের আগ্রহ বাড়ছে, তাঁরা বাংলার জিনিসপত্রের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। তাঁদের কেনাকাটির সুবাদে বিদেশেও পণ্যগুলির পরিচিতি তৈরি হচ্ছে। নানান দেশের ব্যবসায়ী, পর্যটকরা বাংলায় এলে সে’সব সামগ্রীর খোঁজ করছেন। জি-২০ সামিটেও দেশ-বিদেশের মহিলা অতিথিরা বীরভূমের কাঁথাস্টিচের স্টোল কিনে নিয়ে গিয়েছেন বলে শোনা যায়। সৃষ্টিশ্রী মলে বিদেশি ক্রেতাদের আনাগোনা লেগে থাকে বলেও জানা যায়। মল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বিদেশিদের ভিড় লেগেই থাকে। পোশাক, ঘর সাজানোর সামগ্রী ইত্যাদির দিকেই বেশি ঝোঁক তাঁদের। পঞ্চায়েত দপ্তরের আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। বাংলায় তৈরি পণ্য বিশ্বজয় করছে।