দেববিগ্রহে গুপ্তধন? ৩,০০০ বছরের প্রাচীন ভৈরব মূর্তি নিয়ে শুরু হচ্ছে গবেষণা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ভৈরবের মূর্তির বুকে ৫ ইঞ্চি লম্বা ক্ষত মিলেছে। ফাটা বা ভাঙা নয়, একেবারে ক্ষতই। গভীরতা প্রায় দেড় ইঞ্চি। দেবতার মূর্তির শরীরে কি গুপ্তধন রাখা ছিল? নাকি মূর্তির বুক কেটে তন্ত্রসাধনা হয়েছে? ক্ষতচিহ্ন কীসের ইঙ্গিত? উত্তর খুঁজতে শুরু হচ্ছে গবেষণা। উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার বছরের প্রাচীন ভৈরবের মূর্তি, যা নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, উন্মোচিত হতে পারে নতুন ইতিহাস।
পাথরের প্রাচীন মূর্তিটি পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় অজয় নদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল। জানা যায়, মূর্তিটি শিবের অষ্ট ভৈরবের একটি রূপ। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়ে মূর্তিটি কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিশিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায়। আপাতত মূর্তিটি নিউ সেক্রেটায়িরেট বিল্ডিংয়ে রয়েছে। উত্তর কলকাতায় স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম ও রিসার্চ সেন্টার তৈরি হচ্ছে, সেখানেই তা রাখা হবে। মূর্তির সঙ্গে একটি গৌরীপটও নিয়ে আসা হয়েছে।
মূর্তিটি লম্বায় দেড় ফুটেরও বেশি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে জানা গিয়েছে, মূর্তিটি প্রায় তিন হাজার বছরের কাছাকাছি। মূর্তিটি সত্যিই দুষ্প্রাপ্য। বুকের অংশ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ক্ষত নজরে আসে। মূর্তির বুকের বাঁদিক থেকে তলপেটের ডানদিক পর্যন্ত প্রায় ৫ ইঞ্চি লম্বা একটি ক্ষত রয়েছে। ভেঙে বা ফেটে গিয়ে ক্ষত তৈরি হয়নি।
খোদাই করেই ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষত দেখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মূর্তির উপর তন্ত্রসাধনা হয়ে থাকতে পারে। ক্ষত হয়ত তারই চিহ্ন। বুকের ওই অংশে গুপ্তধন জাতীয় কোনও মূলবান জিনিস থাকতে পারে। কারণ খুঁজতে গবেষণা শুরু হয়েছে।