আজ শুরু হচ্ছে নবদ্বীপের রাস উৎসব, গোটা এলাকায় সাজো সাজো রব
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আজ রাসপূর্ণিমায় শুরু হতে চলেছে নবদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। এলাকার মণ্ডপ এবং মঠ মন্দিরগুলি সেজে উঠেছে। বার প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা ও কার্নিভাল হলেও অতিরিক্ত বাজনা সহকারে পুজো করা যাবে না। বারোয়ারি থেকে তিন থেকে পাঁচজন করে সদস্য সীমিত সংখ্যক ঢাক, খোল, করতাল নিয়ে এসে পুজো দিয়ে যেতে পারবেন বলেই জানানো হয়েছে।
রবিবার বিকেলে রাস উৎসব উপলক্ষ্যে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশ করেন কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায়। কোন কোন রাস্তায় নো এন্ট্রি থাকছে, কোথায় কোন মণ্ডপ, কোন রাস্তা দিয়ে প্রতিমার শোভাযাত্রা যাবে, সবকিছুই রয়েছে গাইড ম্যাপে।
বাইরে থেকে দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছেন। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পোড়ামাতলায় বাদ্যযন্ত্রীদের ভিড় জমেছে। অধিকাংশ হোটেলে বুকিংও হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও ঘর ফাঁকা নেই বললেই চলে। রাসপুজো উপলক্ষ্যে নবদ্বীপে বৈষ্ণব, শাক্ত ও শৈব মতে তিনশোর বেশি দেবদেবীর পুজো হয়। মহাপ্রভু, রাধাকৃষ্ণের চক্ররাস, পার্থসারথী, যুগলমিলন, কৃষ্ণকালী, রণকালী, বামাকালী, ভুবনেশ্বরী, কমলে কামিনী, গণেশ জননী ইত্যাদি পুজো হয়। এলানিয়া কালী, তেঘড়িপাড়ার বড়শ্যামা, ব্যাদড়াপাড়া ও আমপুলিয়া পাড়ার শবশিবা, দণ্ডপাণিতলার মুক্তকেশী, চারিচারাবাজার ও হরিসভাপাড়ার ভদ্রকালী, গাড়ালপাড়া বিন্ধ্যবাসিনী, পোড়ামাতলার কাঁসারী কালী, জোড়া বাঘ গৌরাঙ্গিনী, আমড়াতলার মহিষমর্দিনী উল্লেখযোগ্য।
রাসযাত্রীদের থাকার জন্য শ্রীবাস অঙ্গন, বড়ালঘাট, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে ৪টি যাত্রীনিবাস তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ৯টি স্বাস্থ্যশিবির করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক-সহ পুরসভা সমস্ত পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে। রাস পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আগত যাত্রীদের ভিড় সামলাতে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় বিশেষ এক জোড়া ট্রেন চালানো হচ্ছে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দু’দিন ট্রেন চলবে। ডাউন লোকাল সমস্ত ট্রেনকে যাত্রীদের সুবিধার জন্য এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অতিরিক্ত তিনটি টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে, মেডিকেল ক্যাম্প, অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বেচ্ছাসেবক থাকছে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে লিফট ও এসক্যালেটরের ব্যবস্থা থাকছে। ২ ও ৩ প্ল্যাটফর্মেও এসক্যালেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।