‘মিগজাউম’ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে উদ্বিগ্ন আবহাওয়া দপ্তর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে, মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে ‘মিগজাউম’ নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। এর কবলে প্রভাবিত হতে পারে ভারত, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপকূল। এটা হবে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়।
পূর্বাভাস অনুসারে ২৭ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রবেশ করেছে। যা ক্রমশ উত্তর পশ্চিমদিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। রবিবার তা প্রবেশ করবে পূর্ব আন্দামান এলাকায়। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটা।
ঘূর্ণিঝড়টি কোন দিকে যাবে সেটা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এটি উত্তর অন্ধ্র ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া সংক্রান্ত একাধিক মডেল।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়বে কি না এটা এখনই নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না। এটির অভিমুখ কোন দিকে হবে, প্রভাবের বিষয়টি তার উপরই নির্ভর করছে। তবে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা আপাতত কমবে না। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৫ ডিগ্রি।
তবে আবহাওয়া দপ্তরের ওয়েবসাইটে কয়েকটি মডেল মারফত ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। একটি মডেলে বলা হয়েছে, এটি খুব তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ৫ ডিসেম্বর নাগাদ উত্তর অন্ধ্র-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে আসতে পারে। অন্য একটি মডেলের বক্তব্য, ৬ ডিসেম্বর নাগাদ সেটি ওই জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। কয়েকদিন আগে অধিকাংশ মডেলে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ পরিবর্তনের যে বার্তা দেওয়া হয়, তাতে ছিল বাংলাদেশ এমনকী মায়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ারই ইঙ্গিত। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি কোন দিকে যাবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের উপকুলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। ওই ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৮ জন মারা গিয়েছেন। সেই সঙ্গেই উপকূল এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।